PARTNERSHIP1

আপনি বলেন একটা, আপনার পার্টনার বলে আরেকটা, জেনে নিন কখন কী বলবেন এবং কীভাবে বলবেন।

একজন একা যা করতে পারে তার থেকে দুজনের পার্টনারশিপ আরো বেশি কিছু করতে পারে। পার্টনারশিপ চালিয়ে যাওয়ার মন্ত্র কী? যখন দুজন কোন ঐক্যমতে আসতে ব্যর্থ হয়, তখন কী করা উচিত? ভাল কিছু করতে চাইলে কীভাবে মত পার্থক্য আলোচনার মাধ্যমে কমিয়ে আনা যায়? আপনার কোম্পানি বা দলের জন্য ভাল ফলাফল চাইলে আপনাকে জানতে হবে কী করে একটি সফল পার্টনারশিপ করা যায়, হয়ত এটি করা একটু কষ্টের কিন্তু তার সুফল কিন্তু মিষ্টি। পার্টনারশিপ ঠিক রাখার জন্য ৫টি টিপস দেওয়া হল এখানেঃ

দুজনের মাঝে কমন লক্ষ্য খুঁজে বের করুন

আপনাদের দুজনের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হতে পারে কিন্তু কমন লক্ষ্য থাকাটা জরুরি। এই কমন লক্ষ্যই যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার অনুপ্রেরণা হবে এবং মধ্যস্থতার মাধ্যম হবে। একে অপরের আইডিয়া ঐ কমন লক্ষ্য অর্জনের জন্য সহায়ক হতে হবে। আমাদের সবারই নিজস্ব আগ্রহ ও মত আছে, দুজন মিলে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একটি সমস্যার সৃজনশীল সমাধান করা সম্ভব। একই উদ্যম নিয়ে সবদিক ঠিক রেখে একই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

আপনার পার্টনারের শক্তি কাজে লাগান

সমতার পার্টনারশিপেও কাজের দায়িত্বের ভাগাভাগি থাকে। একেক জনের আলাদা আলাদা কাজের ক্ষেত্র থাকে। একজনকে নেতৃত্ব দিতে হলেও পার্টনারশিপ কিন্তু ঠিকই থাকে। কাজ ভাগাভাগি করেই জয় নিশ্চিত করতে হবে। যদি সবাই সবকিছু করতে যায়, তাহলে তালগোল পাকানো খুব স্বাভাবিক। ব্যক্তিত্বের ভিন্নতাই একে অপরকে ভালভাবে কাজে লাগানোর শক্তি। যে কাজ আপনি ভাল পারেন সেটা আপনি নিজে করুন, অন্য কাজ আপনার পার্টনারকে করতে দিন যা সে ভাল পারে। তাহলে দুজনের মানিকজোড় কাজে আসবে। দুজনের চিন্তাশক্তিও একইভাবে কাজে লাগাতে হবে।

কখন সন্ধি করতে হবে তা জানুন

শক্ত ব্যক্তিত্ব যেমন শক্তিশালী পার্টনারশিপ তৈরি করতে পারে তেমনি বড় ধরনের মতানৈক্যও তৈরি করতে পারে। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জে আমাদের নতুন নতুন ভিন্নতা প্রকাশ পায়। এবং যে বেশি যত্নশীল, সেই জয়ী হয়। যদি কোন মতানৈক্যের জন্য দুজন পার্টনারের মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তখনই সন্ধি করে ফেলতে হবে এবং মতের অমিলের মীমাংসা করে নিতে হবে। নতুন কিছু করতে গেলেই মতপার্থক্য চলে আসে কারণ কীভাবে কী করতে হবে তা নিয়ে একেক জনের একেক ধরনের মত রয়েছে । কাউকে না কাউকে কাজ শেষ করতে হবে এবং তা ভালভাবেই করতে পারার মাঝেই কৃতিত্ব রয়েছে।

 

 

 

 

 

 

যা যা পার্থক্য রয়েছে তা কাজে লাগান

প্রতিদিনকার কাজগুলো ভাগাভাগি করে নিন। একজন আর্থিক ও বাজেটের বিষয়গুলো দেখতে পারে আর অন্যজন অফিসের প্রতিদিনের দেখভাল করতে পারে। কার কী  কাজ করতে হবে এটা জানা থাকলে কাজ করা সহজ হয়ে যায় এবং কাজে ভারসাম্য বজায় রাখা যায়। এমন সময় আসতে পারে যখন দুজনই ভিন্ন ভিন্ন ভাবে কোন একটি কাজ করতে চাইবে, তখন সমঝোতার ভিত্তিতে এমন কিছু বের করতে হবে যেন দুজনেরই ভিন্নতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে সফল হওয়া যায়।

আলোচনায় ভয় পাবেন না

প্রতিটি প্রজেক্টেই একজনকে নেতৃত্ব দিতে হবে আর অন্যজনকে কাজের হাল ধরতে হবে। এই পদ্ধতিটি তখনই কাজ করবে যখন কাজের ব্যাপারে দুই পক্ষের মাঝে কৃতিত্ব ভাগাভাগি নিয়ে কোন সমস্যা থাকবেনা। যার আইডিয়া ভাল তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে অন্যজন আইডিয়ার বাস্তবায়ন করতে পারে আর এটা করার সবচেয়ে ভাল উপায় হল মুক্ত আলোচনা করে সবকিছু ঠিক করে নেওয়া।

Similar Posts

1 Comment

  1. কোন পার্টনারশিপ শুরুর আগে মন মানসিকতায় মিল থাকাটা আনেক জরুরী …

Leave a Reply