online-tools-1

কনফারেন্সিং হোক বা নেটওয়ার্কিং হোক, সবখানেই এই সহজ প্রযুক্তি ব্যবহার করুন এবং এর ফলে আপনার দল আরো বেশি কাজ সম্পাদন করতে পারবে।

কর্মস্থলে আপনার দলকে সংযুক্ত রাখতে, কর্মমুখী করে তুলতে, ফিট রাখতে এবং ডিজিটাল ক্ষেত্রে ইউজার অভিজ্ঞতার সম্পর্কে জানাতে মূলধারার প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই। এসব টুলস যেকোন ইন্ডাস্ট্রি ও কোম্পানির জন্য প্রযোজ্য – এগুলোর ব্যবহারে আপনার দল কাজে আরো ভালভাবে অবদান রাখতে পারবে এবং সবসময় একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকতে পারবে। কয়েকটি টুলস এখানে তুলে ধরা হল।

ইয়ামার [Yammer]: আপনার ইমেইল ইনবক্সের বাইরে চ্যাটের মাধ্যমে কাজ করার উপায়

আপনার ইমেইল ইনবক্স হয়ত পরিপূর্ণ হয়ে গেছে, এমতাবস্থায় ইনবক্সের বাইরে দরকারি তথ্য শেয়ার ও আলোচনা করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন ইয়ামার। এতে রয়েছে দলগত আলোচনার বোর্ড, ক্লায়েন্ট গ্রুপস এবং প্লেগ্রাউন্ড নামে একটি বিভাগে যেখানে কর্মচারীরা কাজের বাইরে অন্যান্য মজার জিনিস নিয়ে কথা বলতে পারে। যেকোন অফিস আপডেট শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার কর্মীরা যে যেখানেই থাকুক না কেন তারা সবকিছুর ব্যাপারে অবহিত হতে পারবে। যে কর্মী ভালভাবে কাজ করতে পারবে তার জন্য থাকবে প্রশংসা ব্যাজ।

ফিটবিট [Fitbit]: কর্মজীবনে ভালো সাফল্য আনতে হলে সবার আগে আপনাকে ফিট রাখতে হবে। আর আপনাকে এই ফিট রাখার কাজটিই করে দিবে ফিটবিট। কর্ম চঞ্চল থাকুন (Get Active), ভালো খাবার খান (Eat Better), ওজন নিয়ন্ত্রনের রাখুন (Manage Weight) এবং ভালো ঘুমান (Sleep Better)। এই চার ধাপে ফিট বিট আপনাকে সাহায্য করবে তার তার পণ্য ও সেবা দিয়ে।

মাইন্ডমেইস্টার [MindMeister]: যেকোন জায়গা থেকেই কাজের ব্যাপারে চিন্তা ককরা ও আইডিয়া বের করার ক্ষেত্র

একটি মাইন্ড ম্যাপে অনেকে মিলে কাজ করলে দ্রুত গবেষণার ফল নিয়ে কাজ করা যায় এবং বেঁচে যাওয়া সময়ে ফল বাস্তবায়নের কাজে ব্যবহার করা যায়। কৌশল নির্ধারণের সময় বিশেষ করে ক্লায়েন্টদের শক্তি, দুর্বলতা, সম্ভাবনা ও ঝুঁকি মূল্যায়নের জন্য এই টুলটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

ওয়েবএক্স [WebEx]: মিটিং ও প্রেজেন্টেশনে কাদের সাথে কথা বলবেন তা জানার উপায়

ওয়েবএক্সের মাধ্যমে সহজে পাওয়া যায়না এমন ব্যক্তিদেরকে আপনার কোম্পানির গবেষণার সাথে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন, তারা আপনার ডিজিটাল পণ্যে সাথে এমনভাবে পরিচিত হবে যেন তারা আপনার কোম্পানির ল্যাবেরই অংশ। যাতায়াতের খরচ ছাড়াই আপনি আপনার পণ্য সম্পর্কে অন্যদের মতামত জানতে পারবেন এবং তা ক্লায়েন্টের কাছে তুলে ধরতে পারবেন। এতে আরো রয়েছে ভিডিও কনফারেন্সিং এর সুবিধার যার ফলে বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে থাকার আপনার কর্মীদের সাথে আপনি সহজেই যোগাযোগ রাখতে পারবেন এবং ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপারে তথ্য আদান প্রদান করতে পারবেন।

সাকসেসফ্যাক্টরস [SuccessFactors]: কর্মচারী, প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য ও ফিডব্যাক ট্র্যাক করার উপায়

সাকসেসফ্যাক্টর কর্মীদের কাজের অগ্রগতি ও পেশাগত উন্নয়ন ট্র্যাক করে থাকে এবং কর্মীরাও এর মাধ্যমে যেকোন সময়ে তাদের লক্ষ্য কতটুকু অর্জিত হয়েছে এবং তাদের কাজের ফিডব্যাক সম্পর্কেও জানতে পারবে। বার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য ম্যানেজার ও কর্মচারীরা সাকসেসফ্যাক্টর থেকে ফিডব্যাক ব্যবহার করতে পারবে।

এভারনোট [Evernote]: কম্পিউটার ক্লাউডে বিভিন্ন নোট ও মজাদার তথ্য সংরক্ষণ করার উপায়

একসাথে একই স্থানে প্রজেক্ট শিডিউল, পাঠ সেশন থেকে পাওয়া লিংকস ও ছবি, গবেষণা পত্রের টীকা এবং অন্যদের ইন্টারভিউ নেওয়ার সময় তথ্য টুকে রাখার সুবিধা দিয়ে থাকে এভারনোট। যেহেতু তথ্যগুলো ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের আওতাভুক্ত তাই যেকোন ডিভাইস [ল্যাপটপ, ট্যাবলেট পিসি বা মোবাইল ফোন] থেকেই এভারনোট ব্যবহার করা যাবে। গবেষণার সময়ে প্রয়োজনীয় পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি এভারনোট দিয়ে আপনি ক্লায়েন্টের জন্য মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্ট সংরক্ষণ করতে পারেন। কর্মচারীদের সাথে সরাসরি মিটিং এর সময় এই টুলটির মাধ্যমে আপনি আপনার এজেন্ডাও সহজে তৈরি করে নিতে পারবেন।

এছাড়াও আছে স্ক্রামি [Scrumy] কাজের ব্যাপারে সহায়তা চাওয়ার জন্য একটি ভার্চুয়াল টাস্ক বোর্ড, জিং [Jing ] যার মাধ্যমে কম্পিউটারের স্ক্রিন রেকর্ড করা যায় এবং কর্মচারীদের জন্য দ্রুত প্রযুক্তিগত টিউটোরিয়াল তৈরি করা যায় এবং স্ন্যাগইট [SnagIt] যার মাধ্যমে আপনি কম্পিউটারের স্ক্রিনের ছবি তুলে তা ইমেইলে শেয়ার করতে পারবেন।

[অনুবাদ]

Similar Posts

Leave a Reply