অফিস রাজনীতিতে সফল হওয়ার ৯টি অলিখিত নিয়ম
৮৫% পেশাদারই অফিস পলিটিক্স এর মুখোমুখি হন। নৈতিকভাবে সাফল্য পেতে এই অদৃশ্য নিয়মগুলো রপ্ত করা জরুরি। অনেকেই ভুল করেন: লুকিয়ে থাকেন, রাজনীতিকে নোংরা খেলা ভাবেন, বা বাস্তবতা উপেক্ষা করে ক্ষতির শিকার হন।
এর ফল? ক্যারিয়ার স্থবিরতা, দক্ষতাহীন সহকর্মীর পদোন্নতি, বা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত থেকে বিচ্ছিন্নতা।
হার্ভার্ডের গবেষণা বলছে: শীর্ষ কর্মীরা নৈতিক রাজনীতিতে সক্রিয় হন, সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং সততা বজায় রাখেন। আপনার সাফল্যের জন্য রইলো ৯টি কৌশল:
১. কার কাছে অভিযোগ করছেন, সতর্ক হোনঃ
সমর্থনকারী বলে মনে হওয়া সহকর্মীও আপনার কথা বিপক্ষে ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণ আলাপেও রয়ে যায় স্থায়ী প্রভাব।
২. নীরবতা সমর্থন নয়ঃ
লোকেরা দ্বন্দ্ব এড়াতে চুপ থাকে, আপনার পক্ষ নেয় না। বলা হয়নি এমন কথাই প্রায়শ গুরুত্বপূর্ণ।
৩. নন ভার্বাল কমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রণ করুনঃ
আপনার কথা শোনার আগেই মানুষ আপনার ক্ষমতা যাচাই করে। নিরপেক্ষ অভিব্যক্তি ও শান্ত কণ্ঠস্বর রপ্ত করুন।
৪. কথা বলার আগে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করুনঃ
সম্পর্ক ও ক্ষমতার গতিবিদ্যা বুঝুন। ভুল সময়ে কথা শত্রু তৈরি করতে পারে।
৫. সিদ্ধান্তগ্রহীতাদের সাথে সংযুক্ত হোনঃ
আপনার বসই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তদাতা নন। ক্ষমতার মূল দারোয়ানদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ুন।
৬. সমস্যা-সমাধানকারীদের কাছাকাছি থাকুনঃ
যারা সমাধান খোঁজেন, তাদের সাথে থাকুন। অভিযোগকারীদের সান্নিধ্যে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন হয়।
৭. কৌশলগত নীরবতার শক্তি কাজে লাগানঃ
কখনো নীরবতাই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। সময়োপযোগী বিরতি কর্তৃত্ব ও সম্মান আনে।
৮. তাড়াহুড়ো করে উত্তর দেবেন নাঃ
চিন্তাভাবনা করে উত্তর দিন। আরও সময় চাইতে জিজ্ঞাসা করুন, “চমৎকার প্রশ্ন! একটু বিস্তারিত বলুন”
৯. আপনার সুনাম রক্ষায় কঠোর হোনঃ
অন্যদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না, কিন্তু নিজের কাজের মাধ্যমে আক্রমণ মোকাবিলা করুন। উৎকর্ষতার মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখুন।
রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তা কৌশল নয়, মানুষের আচরণ বোঝার দক্ষতা।এই কৌশলগুলো অফিসের জটিলতা মোকাবিলায় আপনাকে প্রস্তুত করবে, নৈতিকতা ও দক্ষতার সাথে এগিয়ে নেবে। সচেতনভাবে অনুশীলন করুন এবং ক্যারিয়ারের নতুন উচ্চতায় পৌঁছান!