গ্রাহকদের ব্যবসার অভ্যন্তরে প্রকৃতপক্ষে কি ঘটছে তা জানার উপায় জেনে নিনঃ

 

একেকজন গ্রাহকদের এক এক ধরনের চাহিদা থেকে থাকে। যদি গ্রাহকদের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের  উপর নজর না থাকে তাহলে তাদের হারাতে হতে পারে বা নতুন বিক্রির সুযোগ হারাতে হবে। গ্রাহকদের যে কোন ব্যাপারে সচেতন থাকতে ক্রেতার সাথে যোগাযোগই যথেষ্ট নয়, তাদের মনে যা থাকে তাও আপনাকে জানার চেষ্টা  করতে হবে। এ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদেরকে নিম্নে বলা হলঃ

 

১. গ্রাহকের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানাঃ

যখন বড় কোন ঘটনা ঘটে থাকে তখন প্রথমে জানতে হবে প্রকৃতপক্ষে কি ঘটেছিল। এর ফলে ক্রেতার সাথে আপনার সম্পর্কে কোন ভূমিকা পড়বে কিনা তা আপনি জানার চেষ্টা করুন। ক্রেতাদের ফার্মে কোন সমস্যা দেখা দিলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যাতে এই খবর আপনি সাথে সাথে জানতে পারেন তার ব্যবস্থা করুন। সতর্কীকরণ বার্তা পাবার জন্য নিউজ ফিড সেট করুন। আজকাল অনেকে এর জন্য গুগল এলার্টস ব্যবহার করে থাকে যেহেতু এটি ফ্রি। কিন্তু অনেকেই “নিউজ ক্লিকিং” ব্যবহার করেন, কারন এর অনেক বেশি ফিচার। মূলত, প্রতিদিনকার নিউজ ফিড দেখার চেষ্টা করুন এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটলে তা নিউজ চক্রের মাধ্যমে জেনে নিন। ফিডের সার্চ অপশনে বিষয় না দিয়ে প্রবন্ধের শিরোনামে কোম্পানি (ক্রেতা) নাম দিলেই হয়ত পেয়ে যাবেন।

 

২.প্রতিদিন গ্রাহকের প্রেস রিলিজ পড়ুনঃ

প্রেস রিলিজের মাধ্যমে ক্রেতার নতুন পণ্য, নতুন পদক্ষেপ, নতুন শ্রমশক্তি এবং আর্থিক মাইলস্টোনের তথ্য এবং সংক্ষিপ্ত বিবরণ পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, কোন ফার্ম যদি বছরে দুটি অর্জন লাভ করে তাহলে আরো অর্জনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে যেন সম্পর্কে চিড় না ধরে।

 

৩. সাপ্তাহিক গ্রাহকদের “Jobs Available” পৃষ্ঠা যাচাই করুনঃ

কি ঘটছে তা জানার আরেকটি উপায় হচ্ছে “Jobs Available” পৃষ্ঠা। কোম্পানীর কি প্রয়োজন ও কোম্পানি কোন দিকে অগ্রসর হচ্ছে তা বুঝতে সাহায্য করে। এটা যে কোন উৎসের তুলনায় বেশী কার্যকর। কোম্পানির অবস্থানের উন্নতি হলে দ্রুত বিস্তৃতির দিকে যাবে আর অবনতি হলে বিপরীৎ ঘটবে। চাকুরির বিজ্ঞপ্তির মধ্যে কাজের প্রকৃতি ও ভবিষ্যৎ ছাওয়ার ইংগিত থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যখন ফার্মাসিটিকিওলস কোম্পানিগুলো যখন মেডিকেল রিপ্রেসেনটেটিভস নিয়োগ করে, এরপর হয়তো তাদের জন্য লাগবে মোটর সাইকেল, মোবাইল ফোন ইত্যাদি।

 

৪. গ্রাহকদের সাথে প্রতিনিয়ত কথা বলুন, একই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন লেয়ারেরে পরিচিতদের সাথেঃ

যখনই একটি পরিবর্তনের কথা শুনবেন, তখনই আপনার সাথে যার যোগাযোগ হয়, তার সাথে কথা বলুন, বিস্তারিত জানার চেষ্টা করুন। যদি তাৎক্ষনিক কিছু জানতে না পারেন, নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন এবং জানার চেষ্টা করতে থাকুন। বিশেষ করে যখন কোন কর্মকর্তার পরিবর্তন ঘটে, তখন হয়তো কোম্পানিটির অনেক বড় বড় সিধান্ত এবং প্রক্রিয়ার পরিবর্তন আসবে। এই ধরনের পরিবর্তনের ফলে একটা কোম্পানির বিজনেস মডেলেরও পরিবর্তন হয় যা আপনার জন্য সুফল কিমবা সমস্যা নিয়ে আসতে পারে। যাই হোক, আপনাকে জানতে হবে কি হচ্ছে এবং আপনাকে এর জন্য কি পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

৫. শেয়ার বাজারে আপনার গ্রাহকদের কোম্পানির খবর রাখুন, অন্তত ত্রৈমাসিক বিরতিতে হলেওঃ

যদি আপনার গ্রাহকের কোম্পানি শেয়ার বাজারে নিবন্ধিত হয় তবে আপনি স্টক মার্কেটে তাদের প্রকাশনাগুলো নিয়মিত পড়ুন। এগুলোতে মাঝে মাঝে প্রেস রিলিজের চেয়েও অনেক বেশি তথ্য থাকে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ইলেকট্রিক ফার্ম প্রেস রিলিজে জানায় যে তারা শেয়ার মার্কেটের বা নতুন ক্রেতা তৈরি করতে গুরুত্ব দেয় কিন্তু তাদের বছর থেকে বছরের ক্ষতির পরিমাণ তারা সেখানে প্রকাশ করে না। শেয়ার বাজারে যেসব রিপোর্ট পাওা যায় তাদের মধ্যে রিস্ক ফ্যাক্টর গুলো পড়বেন। এগুলো সেই রিস্ক ফ্যাক্টর যা ওই কোম্পানিটির টপ ম্যানেজমেন্টকে রাতভর জাগিয়ে রাখে। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিশেষকরে যখন আপনি ওই কোম্পানিটির জন্য কোন প্রপোসাল তৈরি করবেন।

 

[অনুবাদ]

Similar Posts

Leave a Reply