উদ্যোক্তাদের জন্য উদ্বেগ একটি ভাল ওষুধ হতে পারে যদি সঠিক মাত্রায় তা থাকে তবে এর বাড়াবাড়ি হলে কিন্তু শুধু ক্ষতিই বয়ে আনে।
উদ্যোক্তাদের মধ্যে সামান্য উদ্বেগের উপস্থিতি থাকলে তা তাদেরকে লক্ষ্য পূরণের জন্য খানিকটা অনুপ্রেরণা যুগিয়ে থাকে। উদ্বেগের ফলে যেসব নিউরো কেমিক্যাল নিঃসরিত হয় তা আপনাকে সৃজনশীল কাজ করতে কিছুটা সাহায্য করবে। কিন্তু এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে মুশকিল, তখন কাজের ব্যাপারে একটা ভয় চলে আসে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করা কষ্টকর হয়ে যায়, তখন মনে হয় এটা না করলেই নয় বা এটা করতেই হবে কিন্তু আদতে সেটা না করলেও চলে। এখানে ৪টি বিশ্বাস তুলে ধরা হল যার কারণে অতিরিক্ত উদ্বেগের ফলে আপনার স্নায়ু ব্রেকডাউন হতে পারে এবং এগুলো অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
আমি যা করব সবই পারফেক্ট হতে হবে
যার বেশি বেশি উদ্বিগ্ন থাকে তাদের এই প্রবণতা বেশি কাজ করেযে তাদের মধ্যে সবকিছু পারফেক্ট হতে হবে। পারফেকশনিসমের মূল কিন্তু আমাদের শৈশবের সাথে সম্পর্কিত। যে সময়ে আমাদেরকে শেখানো হয় সবিকিছু পারফেক্টলি করতে হবে এবংতা না হলে অন্যদের সমালোচনায় পড়তে হবে। আমরা ভাবি আমরা পারফেক্ট তাই কেউ আমাদের কিছু বলতে পারবে না। পারফেক্ট লাইফ, পারফেক্ট পরিবার, পারফেক্ট ঘর এই সবকিছুর আড়ালে আমরা আমাদের সীমাবদ্ধতাগুলোকে ঢেকে রাখিযাতে অন্যরা কেউ আমাদের খুঁত ধরতে না পারে। তার উপর উদ্বেগের কারণে আমরা আমাদের প্রতিযোগীদের ব্যাপারে এক প্রকার ভীত সন্ত্রস্ত থাকি, তবে যত যাই হোক না কেন আমরা কেউই পারফেক্ট নই, তাই পারফেকশনিসমের প্রতিযোগিতার দৌড়ে কিন্তু কেউই শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয় না। সুতারং এটা নিয়ে ভাবাটা অমূলক ছাড়া কিছুই নয়।
যদি মানুষ আমাকে আসলেই জানত, তাহলে তারা আমাকে ঘৃণা করত এবং আমার সাথে কাজ করতে চাইত না
জীবনের কোন না কোন স্তরে আমরা শিখি যে কিছু কিছু আচরণ গ্রহণযোগ্য আর অন্যগুলো বর্জনীয় আর পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে গ্রহণযোগ্য আচরণগুলোই অনুশীলন করতে হয়। যখন আপনি আপনার নিজস্বতা নিয়ে অস্বস্তিতে থাকবেন, তখনি আপনি নিজেকে গ্রহণযোগ্য আচরণের কাতারে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। আর সেগুলো হল মুক্তমনা, সমঝোতার মানসিকতা ও নম্রতা। কিন্তু অন্যদের কাছে তা হতে পারে নীরস, বিরক্তিকর ও খিটখিটে। আমরা নিজেদের ব্যক্তিত্বের অগ্রহণযোগ্য দিকগুলো অন্যদের থেকে এবং নিজেদের থেকেও লুকিয়ে রাখি। তবে নিজের ব্যক্তিত্বকে লুকিয়ে রাখলে আপনি কখনও আপনার নিজস্বতা অনুভব করতে পারবেন না। নিজেকে অস্বীকার করার এই চর্চা আপনার অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয় যা পক্ষান্তরে মানসিক চাপ ও স্নায়ু ব্রেকডাউন সৃষ্টি করে।
আবেগ নিয়ে কথা বলা দুর্বলতার লক্ষণ
আমাদের নিজেদেরকে বোঝা, অন্যদের সাথে কাজ করা ও সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য মানসিক বুদ্ধিমত্তা প্রয়োজন। কিন্তু তারপরেও এই ব্যস্ত জীবনে মনের আবেগকে আমরা তেমন একটা গুরুত্ব দেই না। অনেক উদ্যোক্তা আছে যারা তাদের নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে চায় না। তারা নিজেদের মধ্যেই তাদের অনুভূতিগুলো পুষে রাখবে বা তা এড়িয়ে যাবে এবং পরবর্তী কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। কিন্তু মানুষ তার আবেগের মাধ্যমেই মানসিক চাপ কমাতে পারে। যদি আপনি সেগুলো নিয়ে কথা না বলেন তাহলে তা কিন্তু আপনার মধ্যে সব সময় থেকেই যাবে। আর তখন চাপা কষ্ট আপনার উপর ভর করা অস্বাভাবিক নয় এবং সেটা থেকে বের হতে গেলে আপনার স্নায়ুকে যথেষ্ট হিমশিম খেতে হবে।
যদি আমি ব্যর্থ হই তাহলে আমার মৃত্যু হবে, তাই ব্যর্থ হওয়ার আগে নিজেকে আমি নিঃশেষ করে দেব।
ব্যর্থতাই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।আমরা হরহামেশাই শুনে থাকি যে ব্যর্থতাকে গ্রহণ করে নিতে হয়। কিন্তু সত্যি বলতে কী, আমরা কেউই ব্যর্থ হতে চাই না এবং ব্যর্থতা এড়াতে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করে থাকি। আর এই চেষ্টা করতে গিয়ে আমরা আমাদের জীবন, স্বাস্থ্য, পরিবার-পরিজনদের কাছ থেকে দূরে সরে যাই। শুধুমাত্র একটা সাফল্যের জন্য আমরা এই চড়া মূল্য পরিশোধ করতেও দ্বিধা বোধ করি না কারণ আমরা কেউই আমাদের ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী নই। তবে ব্যর্থতাকে পুরোপুরি ঠেকাবার কোন উপায় নেই এবং তা একবার না একবার হলেও আসবে, এটা নিয়ে লজ্জিত হওয়ার কিছু নেই, ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েই আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে, এটাই নিয়ম।
আপনার লেখাটা খুব গোছানো. দক্ষতার ছোয়া আছে, আমাদের খুব কমন ভুলগুলো তুলে ধরেছেন. এ ধরনের আরো লেখা পেলে ভালো লাগবে. আমার শ্রদ্ধা জনবেল.
pore valo laglo
Wow oshshadaron pore valo laglo asha kori aro unnotomaner post korben ja teke amra upokrito hote pari
Admin ke bolchi plz erokom psycologycal status beshi kore update korun tate amra motivation pai
Very good articulation and useful