brainstorm-small

কার্যকরী চিন্তা করা একটি শিল্প এবং তা ভালভাবে করতে পারলে আপনার নিজের কাছেই ভাল লাগবে। তবে কোন পরিকল্পনা ছাড়াই তাড়াহুড়ো করে কোনকিছু চিন্তা করা ম্যানেজারদের কাছে অমূলক মনে হতে পারে। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল যা আপনাকে কার্যকরী চিন্তা করে সাফল্য আনয়নে সাহায্য করবে।

. বৃত্তের বাইরে গিয়ে চিন্তা করুন

নিজের কর্মস্থলে কোনকিছু চিন্তা করার চেষ্টা করবেন না। এটি ভাল দুটি কারণেঃ এক, চিন্তা করার জন্য আপনাকে একটি শান্ত পরিবেশ দরকার যেখানে আপনার মনের দুয়ার উন্মুক্ত হবার সুযোগ থাকবে। দুই, চিন্তা করাকে আপনার ব্যবসায়িক কাজের সাথে গুলিয়ে না ফেলা। চিন্তা করে আইডিয়া বের করা যদি কাজের অংশ হিসেবে ধরে থাকেন, দেখবেন প্রতি মাস অন্তর অন্তর সঠিক চিন্তাধারা আর আইডিয়ার খরা চলবে।

. চিন্তার মূল কেন্দ্রবিন্দুকে প্রাধান্য দিন

চিন্তা শুরু করুন একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে প্রাধান্য করে এবং তাতেই পুরোটা সময় যতটা সম্ভব মনোনিবেশ করুন। যেমন আপনি কোম্পানির পরবর্তী পণ্য নিয়ে চিন্তা না করে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী যা যা পণ্য দরকার তা নিয়ে ভাবতে পারেন। পণ্যের ফিচার বাদ দিয়ে পণ্যের যেসব মান ক্রেতার কাজে আসবে তা নিয়ে চিন্তা করুন। চিন্তাধারায় বাধ্যবাধকতা রাখতে কুন্ঠাবোঢ করবেন না, অনেকেই ভাবে বাধ্যবাধকতা থাকলে সৃজনশীল চিন্তাধারা ব্যাহত হয়, কনিতু বাস্তবে ব্যাপারটি একদম ভিন্ন। সব অপশন নিয়ে বসে থাকলে আপনার বিভ্রান্ত হবার সম্ভাবনাই বেশি থাকবে। তাই একটি সমস্যাকে কেন্দ্র করে আপনার চিন্তাকে এগিয়ে নিয়ে যান যাতে আপনি ঐ সমস্যা সমাধানে সৃজনশীল আইডিয়া বের করতে পারেন।

. মানসিক পরিকল্পনা করুন

মাইন্ড ম্যাপের সাহায্যে সবকিছুর নোট নিন আপনার মনের মধ্যে যা আপনার চিন্তাধারাকে শাণিত করবে। মাইন্ড ম্যাপ দিয়ে আপনি একটি কেন্দ্রীয় আইডিয়ার জন্য আরো সম-গোত্রীয় আইডিয়া খুঁজে পেতে পারবেন। এভাবে মনের মধ্যে আইডিয়ার বিন্যাস করা গতানুগতিক নোট নেওয়ার চেয়ে বেশি কার্যকর।

. আইডিয়া বানান, পরিকল্পনা নয়

চিন্তাধারা দিয়ে কোন পরিকল্পনা বা রোডম্যাপ নয়, বরং আইডিয়া এবং সেগুলোর চ্যালেঞ্জ খুঁজে বের করতে হবে। উচ্চ পর্যায়ের একটি আইডিয়া বের করে দলের সবাইকে সেই আইডিয়াকে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে চ্যালেঞ্জ করে দেখতে হবে। আইডিয়া বের করা আর সেটা চ্যালেঞ্জ করার মধ্যে পার্থক্য আছে অবশ্যই কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আপনি তাতে দক্ষ হয়ে উঠবেন এবং কখন পরবর্তী আইডিয়া নিয়ে ভাবতে হবে তা আপনি নিজেই বুঝে যাবেন।

. অন্য যেকোন হস্তক্ষেপ দূরে সরিয়ে দিন

বিরক্তিকর মানুষেরা আপনার চিন্তাধারার ব্যাঘাত ঘটাবেই। একজন হয়ত আপনার আইডিয়াকে মেনে নিতে পুরোপুরি অস্বীকৃতি জানাবে। আইডিয়াকে হতে হবে বাস্তবসম্মত আর কোন আইডিয়াকে নাকচ করে দেওয়ার আগে অন্তত একটি ফিডব্যাক জানানো জরুরি। যারা আইডিয়াকে নাকচ করে দেয় তাদেরকে বর্জন করতে হবে। আরেক ধরনের মানুষ আছে যারা একটি আইডিয়া পেলেই তা নিয়ে চিন্তাধারা ডালপালা ছড়িয়ে দেয় এবং আর অন্য কোন কিছুর ব্যাপারে খেয়াল থাকে না। চিন্তাধারার মূল লক্ষ্য একটি আইডিয়া নিয়ে পড়ে থাকা নয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত সবাই আইডিয়ার ব্যাপারে একমত হচ্ছে, ত০তক্ষণ চিন্তাধারার সেশন চালু রাখা উচিত।

. পরবর্তী করণীয় ঠিক করুন

চিন্তাধারা সেশন শেষ করে দিলেন পরবর্তী করণীয় ঠিক না করেই – তাহলে সেটা হবে বোকামি এবং তখন চিন্তা করার প্রক্রিয়াটাই পুরো ভেস্তে যাবে। যদি কোন আইডিয়া নিয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে আপনার হাতে সময় না থাকে, তাহলে আপনার কষ্ট করে চিন্তা করার প্রক্রিয়ায় শরিক না হওয়াটাই শ্রেয়। পরবর্তীতে আইডিয়া নিয়ে সবার সাথে কথা বলুন এবং কী করা উচিত তা নির্ধারণ করে কর্ম্পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যান।

 

Similar Posts

1 Comment

  1. Effective post.

Leave a Reply