Good-Day-Graphics

একই ধরনের উদ্যম থাকার পরও কর্মক্ষেত্রে সুদিন বা দুর্দিন দুটির যেকোন একটি হতেই পারে। তাই যাই হোক না কেন সবকিছু নিজের মত করে উপভোগ করাটাই শ্রেয়।

আপনি কী কর্মক্ষেত্রে আপনার প্রতিটি দিনকেই  সুদিনে রূপান্তর করতে চান? এটি করা কিন্তু খুব একটা কঠিন কিছু নয়। এই ১০টি টিপস আপনার জন্য দেওয়া হলঃ

. অন্তত ১৫ মিনিট ইতিবাচক থাকুন

ইতিবাচক আচরণ তখনই ধরে রাখা সহজ হয় যখন আপনার মনে ইতিবাচক চিন্তা থাকে এবং দিন যদি আপনার ভাল নাও যায়, তাও আপনি নিরাশ হয়ে পড়বেন না। প্রতিটি দিন শুরু করুন একটি অনুপ্রেরণামূলক বই পড়ে যাতে আপনি সারা দিনই ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখতে পারেন।

. নিজের জীবনের লক্ষ্যের সাথে আপণাড় কাজকে সম্পৃক্ত করে নিন

মনে রাখবেন আপনি প্রতিদিন কেন কাজে যান এবং আপনি কেন এই কাজ বেছে নিয়েছেন, তার অবশ্যই কারন আছে। হতে পারে তা আপনার পরিবারকে সাহায্য করার জন্য, গ্রাহকদের সাহায্য করার জন্য বা কোন ধরনের পরিবর্তন সাধন করার জন্য। আপনার প্রেরণা যাই হোক না কেন, আপনার মনকে বলুন প্রতিটি দিন হলো আপনার জন্য সুযোগ যাতে আপনি আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন।

. যাতায়াতের সময়কে কাজে লাগান

বেশিরভাগ সময় আমরা যাতায়াতের সময় নষ্ট করি খবর শুনার কাজে বা কাউকে ফোন করার কাজে বা কারও সাথে কথা বলার কাজে। সত্যিকার অর্থে যাতায়াতের সময়টাই হল আপনার শক্তি পুনরায় ফিরিয়ে আনার সবচেয়ে ভালো সময়, আর এই জন্য গান বা মিউজিক শুনার চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। মিউজিক আপনাকে উদ্দিপ্ত করবে এবং আপনার সঠিক মুড ফিরিয়ে আনবে। কারও কালেকশানের উপর নির্ভর না করে, নিজের পছন্দ মত কালেকশান তৈরি করুন।

. হাস্যোজ্জ্বল থাকুন

যত যাই হোক না কেন, আপনার মুখে সব সময় হাসি থাকা চাই। নকল হাসি হলেও অন্তত হাসুন। গবেষণায় দেখা গেছে আপনি যদি জোর করে হলেও হাসার চেষ্টা করেন তাহলে তা আপনাকে খানিকটা চাপমুক্ত হতে সাহায্য করে। যে ধরনের হাসি আপনাকে মানায়, সেটাই হাসুন এবং ভাল থাকুন!

. ইতিবাচক মনোভাব তুলে ধরুন

যখন কাউকে সামাজিক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয় যেমন আপনি কেমন আছেন বা কি  খবর? তখন সবাই একই উত্তর দেয়, আমি ভাল আছি বা খবর ভাল চলছে, আবার হয়ত কেউ কেউ বলবে যে তারা একটু সমস্যার মাঝে আছে। গতানুগতিক কথায় আপনার মস্তিষ্ক কম কাজে থাকে। তাই কেউ জিজ্ঞেস করলে বলুন যে আপনি বেশ ভাল আছেন বা আপনার দিন সুন্দর যাচ্ছে।

. গুরুত্বপূর্ণ কাজ সবার আগে করুন

সবাই অভিযোগ করে যে তাদের হাতে অনেক কাজ কিন্তু খুব কম মানুষই এ ব্যাপারে কার্যত কিছু করে থাকে। সত্যি কথা এটাই যে আপনার প্রচেষ্টার ২০% শতাংশ কাজে ৮০% ফলাফল বয়ে আনবে। তাই সেই ২০% প্রচেষ্টা আগে চালাতে হবে যাতে পরে ৮০% সময় যদি আপনার নষ্টও হয় তাহলে যেন আফসোসের কিছু না থাকে। এটি করলে আপনি অল্প সময়ে বেশি কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

. নেতিবাচক মানুষদের পরিহার করুন

উপরের ৬টি ধাপ মেনে চললে দেখবেন আপনি নেতিবাচক মানুষদের চোখের বিষে পরিণত হয়েছেন, ঘাবড়াবেন না কারণ অন্য যারা ইতিবাচক থাকবে আপনার মত তাদের সাথে ঠিকই আপনি মানিয়ে নিতে পারবেন। নেতিবাচক মানুষ কখনও কোন সুফল বয়ে আনে  না, তাই তাদেরকে পরিহার করাটাই উত্তম।

. বেশি সময় ধরে কাজ করবেন না

দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা ভল নয়। দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে আপনার কার্যক্ষমতা কমে যায়। তবে উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করলে আপনি অল্প সময়ের বেশি কাজ করতে পারবেন বিধায় আপনাকে লম্বা সময় ধরে কাজ করতে হবে না!

. কাজে্র মাঝে বিরতি নিন

কাজের শেষে অন্য যেসব কর্মকান্ড আপনাকে সতেজ রাখে সেগুলো করুন। আপনার কর্মক্ষমতাকে রিচার্জ করে নিতে এগুলোর দরকার রয়েছে। সব সময় কাজের চিন্তায় থাকলে এবং বিরতি না নিলে আপনার মনে কোন আনন্দ থাকবেনা। আর তখন আপনি ইতিবাচকভাবে আপনার কাজও করতে পারবেন না। তাই কাজের মাঝে বিরতি নিন।

১০. আপনার দিনের ইতি টানুন ১৫ মিনিট কতৃজ্ঞতা প্রকাশ করে

নিজের মনে কৃতজ্ঞতাবোধ থাকলে আপনি আরো বেশি সাফল্যের দেখা পাবেন। ঘুমাতে যাবার আগে, আপনার মোবাইল বা এক টুকরো কাগজে দিনের কার্যকলাপ লিখে রাখুন এবং যেসব কাজ ভালভাবে শেষ করতে পেরেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন। এতে আপনি শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন এবং পরের দিন নব উদ্যমে আরো বেশি প্রাণশক্তি নিয়ে কাজ করতে পারবেন।

Similar Posts

Leave a Reply