ProGOtiation_IMAGEআসন্ন কোন আশঙ্কা – যেমন হতে পারে অর্থনৈতিক দুরাবস্থা – হতে পারে ঝুঁকিপূর্ণ – তবে তা হতে পারে একটি কার্যকর নেগোসিয়েশন কৌশল।

 

আমাদের দেশের পোশাক শিল্পের কথা ধরুন। একের পর এক সমস্যা এসে হাজির হচ্ছে। যদি সরকার ও নীতি নির্ধারকরা এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন তাহলে যেসব বাজেট ঘাটতি, কর বৃদ্ধি ও আর্থ-সামাজিক অস্থিরতা দেখা দেবে তা এই দুরাবস্থার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি টেনশন কাজ করেছে আর তা হল সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং এটি থামানো না গেলে বিপর্যয় নিশ্চিত। নেগোসিয়েশন থিওরি অনুযায়ী পরিস্থিতিকে একটি শেষ মূহুর্তে নিয়ে আসা তাৎপর্যপূর্ণ।

এ ধরনের সমস্যায়, শেষ চেষ্টা হিসেবে নেতারা আশাহীনতার মাঝে থেকেও সমস্যাকে ব্যবহার করে পদক্ষেপ নেওয়ার উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি নেগোশিয়েটরদেরকে রাজনৈতিক সুবিধা দেয়ঃ তারা অকপটে বলতে পারবেন যে তাদের কাছে আর কোন উপায় ছিল না। তাদের কাজ করার ধরন হয়ত ঠিক না হতে পারে এবং অন্য সময়ে এমনটি হলে তা গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারত, তবে এ ধরনের পরিস্থিতি হল ভিন্নঃ “যদি আমরা পদক্ষেপ না নিতাম, তাহলে সবার ভাগ্যেই বিপর্যয় অনিবার্য ছিল।”

যেসব নেতা শেষ মহুর্তের পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া অবলম্বন করবে তাদেরকে একটু সাবধান থাকতে হবে। এই কৌশলকে সতর্কতা ও বিচক্ষণতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। এর ভুল ব্যবহার হলে সবাই তোড়জোড় করে যে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল তা পুরোটাই ভেস্তে যাবে। পদক্ষেপের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপর জোর দিতে যদি আপনি শেষ মূহুর্তের কৌশল ব্যবহার করতে চান, তাহলে নিচের বিষয়গুলো মনে রাখবেনঃ

  • সত্যিকার অর্থেই যেন একটি অনিবার্য দুরাবস্থার সম্ভাবনা থাকে তা নিশ্চিত করুন। যদি মায়ান সভ্যতার কথা সত্যি হত, তবে এতদিনে আমরা সবাই ধ্বংস হয়ে যেতাম। কোন ভবিষ্যৎ দুরাবস্থার কথা বলার আগে, আপনি এই ব্যপারটা নিশ্চিত হন। একই ধরনের কথা বারবার বলা এবং প্রতিবারই যদি তা মিথ্যা প্রমান হয়, তাহলে আপনার নেতৃত্ব নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হবে।
  • ভাওতাবাজি করবেন না। যদিও ভাওতাবাজি করা মাঝে মাঝে একটি নেগোসিয়েশন কৌশল হিসেবে কাজ করে, এটি কিন্তু শেষ মূহুর্তের কৌশলের জন্য প্রযোজ্য নয়। বাঁচা-মরার মত পরিস্থিতিতে ভাওতাবাজি করার চরম মূল্য দিতে হতে পারে। হয়ত আপনাকেই বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়ে সেটার পরিণাম ভোগ করার জন্য বাধ্য করা হতে পারে।
  • সমঝোতা করতে রাজি থাকুন। শেষ মূহুর্তে বলতে গেলে আর কোন অপশন থাকে না। যখন বোঝা যায় যে সবাই কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তখন একজন নেতা হিসেবে আপনাকে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী ক্রিয়েটিভলি সমঝোতায় আসতে হবে।
  • সবার স্বার্থ মাথায় রাখুন। শেষ মূহুর্তের এই কৌশলকে কার্যকর করতে যারা এর দ্বারা প্রভাবিত হবে তাদের সমর্থন আপনার প্রয়োজন হবে। সব স্টেকহোল্ডার আর সমর্থকরা যাতে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতিকে সুযোগ বুঝে ব্যক্তি স্বার্থ আদায় করার প্রক্রিয়া হিসেবে না দেখে বরং সব পক্ষকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে এমন একটি সমস্যা সমাধানের উপায় হিসেবে দেখে সেটা নিশ্চিত করা জরুরি।
  • আতংক সৃষ্টি করবেন না। শেষ পর্যন্ত কোন সমাধানে না আসতে পারা এবং দীর্ঘ সময় ধরে সমাধানের কোন রাস্তা না পাওয়া একসময় আতংক সৃষ্টি করে যা বিপর্যয়ের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। এর ফলে হয়ত সব পক্ষই সীমারেখা অতিক্রম করবে।
  • তুচ্ছ বিষয়ের জন্য শেষ মূহুর্তের কৌশল ব্যবহার করবেন না। যদি সহজে কোনকিছুর সমাধান করা যায় এবং সব পক্ষই লাভবান হয়, তাহলে মিথ্যা সমস্যা তৈরি করবেন না। এর ফলে পরিণতি ভাল হবে না।

[অনুবাদ]

Similar Posts

3 Comments

  1. onak valo lagsa

  2. really it is very importan things……onek valo laglo…….bisoy gulo amader sobari jana but tarporeo vule jai or mone korte chai na…………………

Leave a Reply