cash-by-Images_of_money<প্রথম পর্ব> <দ্বিতীয় পর্ব> <তৃতীয় পর্ব>

চলমান প্রতিষ্ঠানের ধরন বেছে নেওয়া

যদি আপনি চলমান প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে চান, তাহলে এর মধ্যে কোন ধরনটি আপনি বেছে নেবেন? নিচে প্রতিটি ধরনের নিয়মকানুন সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

 

এস কর্পোরেশন

দায় সীমিতকরণের ফলে এস কর্প জেনারেল পার্টনারশিপ, সীমিত পার্টনারশিপ (যেখানে সীমিত দায়ের পার্টনার থাকে এবং যাদের ব্যবসায়িক সংশ্লিষ্টতা অসীম দায়ের আশংকা থেকে মুক্ত), সোল প্রপ্রিয়েটরশিপ এবং এলএলসির (যে দেশে এক সদস্য বিশিষ্ট এলএলসির অনুমোদন নেই) তুলনায় ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে।

সাবধানতা: দায় সীমিতকরণের একটা মূল্যও আছে। কারণ কিছু কিছু দেশে এস কর্পের উপর আলাদা কর আরপ করা হয় অসীম দায়যুক্ত প্রতিষ্ঠানের তুলনায়।

এস কর্পের কিছু নির্দিষ্ট নিয়মকানুন রয়েছে না নিচে দেওয়া হলঃ

  • সব মালিকরা এস কর্প স্ট্যাটাসের প্রতি সম্মতি জানাতে হবে। এর মানে হল একজন সহ-মালিক তার নিজের সম্মতির সুবিধার্থে মূল্য নির্ধারণ বা শর্ত আরোপ করতে পারবে।
  • এস কর্পের শুধু এক ধরনের স্টক থাকতে হবে, এর মানে হল স্টকের মালিকানার উপর ভিত্তি করেই আয়, ক্ষতি এবং করের অংক ভাগাভাগি করা হবে।
  • সহ-মালিকদের সংখ্যা সীমিত থাকবে (যোগ্যতা সম্পন্ন ১০০ জন পর্যন্ত, একই পরিবারের সদস্যদেরকে একজন স্টক মালিক হিসেবে বিবেচনা করা হবে)
  • কারা সহ-মালিক (যেমন, অন্য দেশের বাসিন্দা মালিক হতে পারবে না) হতে পারবে এবং কোন ধরনের ব্যবসা (যেমন বীমা ব্যবসা এস কর্প হওয়ার যোগ্য নয়) এস কর্প মর্যাদা পাবে এ ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

সাবধানতা: এসব নিয়ম যদি না মানা হয় বা নিয়ম ভঙ্গ করা হয় তাহলে এস কর্প স্ট্যাটাস বাতিল হয়ে যাবে এবং ঐ প্রতিষ্ঠানের উপর সি কর্প স্ট্যাটাস অনুযায়ী কর আরোপিত হবে।

 

লক্ষ্য করুন: পরিচালনার সুবিধার্থে এস কর্প বেছে নেওয়া হয়। তবে, সব ব্যবসার জন্য এটি সুবিধাজনক নাও হতে পারে। পার্টনারশিপ ও এলএলসির বিভিন্ন রকমফেরের কারণে কর ব্যবস্থা নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয় তা অনেক বা বেশিরভাগ ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য কার্যকরভাবে ব্যবহার করা বা বুঝতে পারা মুশকিল হয়ে পড়ে।

এলএলসি বনাম এস কর্পোরেশন

এলএলসি আর এস কর্পের মধ্যে ব্যবসায়িক দিক থেকে একটি মিল আছে আর তা হল দায় সীমিতকরন। ব্যবসা ক্ষেত্রে এস কর্পের প্রাধান্য বেশি কারণ এলএলসি এখনও অপেক্ষাকৃতভাবে নতুন এবং একেক দেশে একেক রকম। এলএলসি আর এস কর্পের মধ্যকার কর পার্থক্য হল মূলত পার্টনারশিপের করের যে সুবিধা থাকে সেটাই। নিচের পয়েন্টগুলোতে এলএলসি এস কর্পের তুলনায় এগিয়ে আছে কারণ এলএলসি পার্টনারশিপ কর ব্যবস্থা বেছে নিতে পারে।

  • আয় বা নির্দিষ্ট ধরনের আয়, সপম্পদের অবচয় কর্তন ইত্যাদির মত করের ক্ষেত্রগুলো এলএলসি কিছুটা অনুপাতহীনভাবে সদস্যদের মাঝে বরাদ্দ করে দিতে পারে করের সুবিধার জন্য। (কিন্তু এস কর্প শুধু মাত্র এক ধরনের স্টকের মালিকানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে)
  • এস কর্পের মালিকরা ব্যবসা শুরু করার সময়ের ক্ষতির অংক তাদের বিনিয়োগ ও তাদের প্রতি এস কর্পের যা দেনা রয়েছে সেই  সমপরিমাণ পর্যন্ত কেটে নিতে পারে। এলএলসির সদস্যরা একই কাজ করতে পারে না তবে অন্যভাবে ঐ এলএলসি অন্য সদস্যদের প্রতি যা দেনা থাকে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় অংক কেটে নিতে পারে।
  • ব্যবসা গড়ার পর আরো সহ-মালিকদের যুক্ত করা এলএলসির জন্য সহজ। এলএলসির সদস্যতা অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়া হলে তার উপর কর বর্তায় না। তবে একই রকমের এস কর্পের মালিকানা হস্তান্তরের উপর কর আরোপ করা হয় যদি না নতুন মালিক (বা মালিকেরা) প্রতিষ্ঠানের ৮০% এর মালিকানা না েয়ে থাকে।
  • জটিল কর সমন্বয় (ভিত্তি সমন্বয়) এলএলসি করে নিতে পারে যখন এলএলসির সদস্যতা বা সম্পদ হাতবদল হয়। এস কর্পের জন্য প্রযোজ্য নয় এসব সমন্বয়েএ ফলে কয়েকজন এলএলসি সদস্যদের উপর আরোপ করা করের পরিমান কমে আসতে পারে।
  • এলএলসির মূল্যবৃদ্ধির সম্পদ প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের মাঝে বিতরণ করা হলে তার উপর কর বর্তায় না। তবে এস কর্পের বেলায়, স্টক মালিকদের মাঝে কোন কিছু বিতরণ করা হলে তার উপর কর বর্তাবে।

টিপ: পরিস্থিতি অনুযায়ী যখন মালিকরা বযবসা ছেড়ে দেবে, তখন এলএলসির চেয়ে এস কর্প স্ট্যাটাস সুবিধাজনক। যখন মূল্যবৃদ্ধির সম্পদ এলএলসির সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয় তখন তার উপর কর দিতে হয় না, তবে ভিত্তির (বিনিয়োগের পরিমাণের) চেয়ে বেশি কিছু হলে তার উপর কর বর্তাবে। অন্যদিকে এস কর্পের মালিকেরা একটি কর্পোরেট পুনঃসংগঠনের মাধ্যমে করমুক্ত এক্সিট করতে পারে যেখানে মালিকেরা তাদের এস কর্পের স্টক একজন কর্পোরেট ক্রেতার জন্য রেখে যাওয়া হয় (পরবর্তীতে কর্পোরেট ক্রেতার উপর স্টক বিক্রি সাপেক্ষে কর আরোপ করা হবে)। যে দেশে এস কর্প এবং এলএলসি পরিচালিত হয় সেদেশের আইন অনুযায়ী দুই ধরনের প্রতিষ্ঠানকেই করের আওতায় নিয়ে আসা হতে পারে।

এলএলসি বনাম পার্টনারশিপ

সকল সদস্যদের জন্য সীমিত দায়ের সুবিধাযুক্ত এলএলসির সুবিধা ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে জেনারেল ও সীমিত পার্টনারশিপের চেয়ে বেশি। যদিও আইনের চোখে পার্টনার আর এলএলসি সদস্যদের করের আওতা একই রকম, মাঝে মাঝে সীমিত দায়ের পার্টনারদের উপর বিশেষ কর নিয়ম প্রযোজ্য হতে পারে (বিশেশ করে আত্ম-কর্মসংস্থান সম্পর্কিত করের বিধি)

লক্ষ্য করুন: এই বিশেষ বিধি নন ম্যানেজার এলএলসি সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য কিনা তা স্পষ্ট নয়।

লক্ষ্য করুন: পার্টনারশিপের থেকে এলএলসির উপর রাষ্ট্রীয় কর আরোপ করার সম্ভাবনা বেশি।

এলএলসি বনাম প্রপ্রিয়েটরশিপ

ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে সীমিত দায় নিয়ে এলএলসি সোল প্রপ্রিয়েটরশিপ থেকে ভাল। যদি সোল প্রপ্রিয়েটর চায় তাহলে এলএলসি বন্ধ করে দেওয়া যায় এবং সেক্ষেত্রে অন্য কোন প্রতিষ্ঠান না থেকে থাকলে খোদ প্রপিয়েটরের উপরই রাষ্ট্রীয় কর আইন অনুযায়ী কর আরোপ করা হবে।

লক্ষ্য করুন: কিছু কিছু দেশ কর ব্যবস্থায় এলএলসি প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাহ্য করতেও পারে আবার নাও করতে পারে।

পেশাদারি প্রতিষ্ঠান

পেশাদারি অনুশীলনী (যেমন ডাক্তার ও আইনজীবী) এর ক্ষেত্রে তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য কয়েকটি অপশন আছে।

পেশাদারি কর্পোরেশন (পিসি)

সাধারণ ব্যবসায়িক দেনার ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানগুলো সীমিত দায়ের সুযোগ দিয়ে থাকে, কিন্তু পেশাজীবীর অনিয়মের দায়ভার নেয় না এবং কিছু দেশে প্রতিষ্ঠানে কাজ করে এমন পেশাজীবী যারা অনিয়ম করে থাকে তাদের জন্য সীমিত দায়ের সুযোগ রাখা হয় না। এই প্রতিষ্ঠানগুলো সি বা এস কর্প এর মত হতে পারে। অন্যান্য সি কর্পের তুলনায় একটি পিসি সি কর্প অ্যাকাউন্টিং এর ক্যাশ নীতি ব্যবহার করতে পারে।

এলএলসি

অনেক দেশে পেশাজীবীরা জেনারেল এলএলসি আইন বা কোন বিশেষ পেশাদারি লিমেটেড লায়াবিলিটি কোম্পানি (পিএলএলসি) আইনের আওতায় এলএলসি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পায়। যেটাই হোক না কেন, পেশাজীবীর নিজস্ব অনিয়মের জন্য সীমিত দায় থাকবে না তবে বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠানের অন্য সদস্য ও দেনার বিপরীতে দায় সীমিত করার সুযোগ থাকতে পারে। এ ধরনের এলএলসি প্রতিষ্ঠান অন্যান্য এলএলসির মত একই সুবিধা (এবং খানিকটা অসুবিধা) ভোগ করে থাকে।

লিমিটেড লায়াবিলিটি পার্টনারশিপ (এলএলপি)

এলএলপি হল জেনারেল পার্টনারশিপের মত যেখান জেনারেল পার্টনারদের সীমিত দায় থাকে। এগুলো পেশাদারি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য। একজন পার্টনার তার নিজের অনিয়মের জন্য দায়ী থাকবে কিন্তু দেশের আইন অনুযায়ী অন্য পার্টনারের অনিয়ম বা কাজের জন্য দায়ী থাকবে না। সাধারণত তাদেরকে দেশের আইন অনুযায়ী অনিয়ম প্রতিরোধে বীমা করাতে হয় এবং প্রত্যেক পার্টনারকে তাদের স্ট্যাটাস ধরে রাখার জন্য ফি দিতে হয় তবে এসব প্রতিষ্ঠানের উপর কোন কর বর্তায় না।

সোল প্রপ্রিয়েটর এবং পার্টনার

অনেক পেশাজীবী লিমিটেড লায়াবিলিটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে সোল প্রপ্রিয়েটর বা পার্টনার হিসেবে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। তারা ভাবে যে অনিয়মের ফলে সৃষ্ট দায়ই তাদের একমাত্র চিন্তার কারণ এবং তারা যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করবে সেটি তাদের অনিয়মের দায়ভার সুরক্ষিত করতে কিছু করবে না (কিছু দেশের ক্ষেত্রে, অন্য পার্টনারের অনিয়মের দায়ভারও বহন করা হবে না)। তাই তারা অনিয়ম প্রতিরোধে বীমা করাকেই বেছে নেয় (যা লিমিটেড লায়াবিলিটি প্রতিষ্ঠানের পেশাজীবীদেরও করানো হতে পারে)

টিপ: লিমিটেড লায়াবিলিটি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় সোল প্রপ্রিয়েটরশিপ ও পার্টনারশিপের উপর প্রাতিষ্ঠানিক কর আরোপ করার সম্ভাবনা কম।

সি কর্পের অন্যান্য সুবিধা ও অসুবিধা

আনুসাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করলে চলমান প্রতিষ্ঠানের চেয়ে সি কর্প বেশি প্রাধান্য পাবে। সি কর্পের কর্মকর্তা ও মালিকেরা কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারে। অপরদিকে, যাদের আত্ম-কর্মসংস্থান রয়েছে (পার্টনার, এলএলসি সদস্য, সোল প্রপ্রিয়েটর এবং এস কর্পে ২% এর সামান্য বেশি স্টক মালিকানা থাকে) তারা এই সুবিধা পায় না।

 

উদাহরণ: সি কর্পের কর্মকর্তা আর মালিকদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা পুরোটাই করমুক্ত হতে পারে (যদি সি কর্প তা পুরোটাই ব্যবসায়িক খরচ হিসেবে কেটে নেয় এবং কর্মকর্তা ও মালিকদের জন্য পূর্ণ কর অবকাশ প্রযোজ্য হয়)। তবে, যাদের আত্ম-কর্মসংস্থান রয়েছে তাদের জন্য এটি আংশিক করমুক্ত কারণ এই আইটেমটি করের হিসেবে তাদের কেটে নেওয়ার সুযোগ সীমিত।

সি কর্পের আরেকটি সুবিধা হল এসব প্রতিষ্ঠানে পরোক্ষ ক্ষতির ফলে অর্থ কর্তনের সীমাবদ্ধতা তেমন একটা নেই বললেই চলে। এর ফলে করদাতা যে কাজে সক্রিয় নয় সে কাজের জন্য অন্য বিনিয়োগ বা ব্যবসা থেকে প্রাপ্ত আয়ের বিপরীতে ক্ষতির অংক কেটে নেওয়ার সুযোগ সীমিত থাকে। সাধারণত, লিমিটেড পার্টনারদের ক্ষেত্রেই পরোক্ষ ক্ষতির সীমাবদ্ধতা বেশি থাকে। সি কর্প স্ট্যাটাসের করের ক্ষেত্রে একটি অসুবিধা হল অ্যাকাউন্টিং এর ক্যাশ নীতির কারণে করের ব্যাপারে রিপোর্ট করার সামর্থ্য সীমিত থাকে যা এক্রুয়াল নীতির তুলনায় কর প্রক্রিয়াতে বিলম্ব সৃষ্টি করে।

এস কর্পের ব্যাপারে অধিক তথ্য

সাধারণত করের আওতায় পড়ে না এমন একটি যোগ্যতাসম্পন্ন এস কর্পের উপর বাদবাকি এস কর্পের মত রেখেই সি কর্পের মত কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কর আরোপ করা হতে পারে। এটি তখনই হয় যখন সি কর্প রপান্তরিত হয়ে এস কর্প হয়ে যায় এবং মূল্যবৃদ্ধির সম্পদ রেখে যায় যা পরে লাভে বিক্রি করা হয়। তখন এস কর্পকে সেই লাভের উপর কর দিতে হয় যা পরে স্টক মালিকদের উপর গিয়ে বর্তায় (কর্পোরেট কর কমিয়ে দিয়ে)। যেহেতু এস কর্পকে হোল্ডিং প্রতিষ্ঠান না ভেবে চলমান প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তাই একই নিয়ম এস কর্পের উপর প্রযোজ্য হতে পারে যদি প্রতিষ্ঠানটির খুব বেশি পরোক্ষ বিনিয়োগ থেকে আয় অর্জিত হয় (লভ্যাংশ, সুদ ইত্যাদি যা প্রধান লাভের ২৫ শতাংশের বেশি)। তখন এই অতিরিক্ত অংকের উপর প্রথমে কর্পোরেট কর প্রযোজ্য হবে তারপর তা স্টক মালিকদের উপর বর্তাবে (কর্পোরেট কর বিয়োগ করার পর)।

 

অনেকের কাছে এস কর্প হল কর্মসংস্থানের কর কমানোর একটা উপায়। যেমন, একজন সোল প্রপ্রিয়েটরশিপে ৳১২০,০০০ আয় করছে, সে পরে তা এস কর্পে রূপান্তর করে নিজের বেতন ৳৭০,০০০ ধার্য করে বাকি ৳নিজের বেতন ৳৭০,০০০ ধার্য করে বাকি ৳৫০,০০০ লভ্যাংশ হিসেবে নিতে পারে। আয়কর কিন্তু অপরিবর্তিতই থাকবে কিন্তু লভ্যাংশের আয়করের হিসেব কিন্তু অপরিবর্তিতই থাকবে কিন্তু লভ্যাংশের ৳৫০,০০০ এর উপর কিন্তু এখন আর কর দেওয়া লাগছে না। অপব্যবহারের ক্ষেত্রে যখন খুব সামান্য বা কোন বেতনই দেওয়া হয় না, তখন আইআরএস মালিক-কর্মকর্তা এবং এস কর্পের নিয়োগদাতাদের দেওয়া লভ্যাংশের উপর আয়কর ধার্য করার কথা বলেছে। তবে যখন বেতনও দেওয়া হয় আবার লভ্যাংশও দেওয়া হয়, তখন আইআরএস এ ব্যাপারে কোন আপত্তি তোলেনি।

অন্য প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর

ব্যবসা আর করের ক্ষেত্রে এলএলসির অনেক সুবিধা রয়েছে এবং এই কারণে অনেক ব্যবসায়িক মালিকেরা এলএলসি ধরনে রূপান্তর করেছে বা করার চিন্তা ভাবনা করে থাকে। তবে অন্য ধরনে রূপান্তরও সুবিধাজনক হতে পারে-যেমন, জেনারেল পার্টনারশিপ থেকে এলএলপি (ব্যবসায়িক কারণে) বা সি কর্প থেকে এস কর্প (কর ব্যবস্থার কারণে। কর ব্যবস্থার কারণে, চেক বক্স সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠানের রূপান্তরকে প্রতিষ্ঠানের মূল কাঠামোগত রূপান্তর হিসেবেই দেখা হয় (রাষ্ট্রের ব্যবসা সম্পর্কিত আইন অনুযায়ী যেটা প্রযোজ্য)

রাষ্ট্রীয় করের জন্য যখন প্রতিষ্ঠানের স্ট্যাটাস রূপান্তরিত হয় তখন যা ঘটে তা এখানে সংক্ষিপ্ত এবং কিছুটা বিশদভাবে তুলে ধরা হল। এখন আপনার জন্য কোনটা প্রযোজ্য তা জানার জন্য একজন কর/ব্যবসা পরামর্শকের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করে নিন।

  • সি কর্প থেকে এস কর্প বা তদ্বিপরীত রূপান্তর। রূপান্তরের উপর কোন কর আরোপ হবে না। এস কর্প থাকাকালীন সময়ে সেটাকে চলমান প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
  • সি কর্প বা এস কর্প থেকে এলএলসি, পার্টনারশিপ বা সোল প্রপ্রিয়েটরশিপে রূপান্তর। সাধারণত, কর্পোরেশন বন্ধ করার উপর কর প্রযোজ্য হবে, তবে নতুন প্রতিষ্ঠানকে চলমান হিসেবে বিবেচনা করা হবে (যদি এস কর্প থেকে রূপান্তর ঘটে)
  • পার্টনারশিপ থেকে এলএলসি বা তদ্বিপরীত রূপান্তর; সোল প্রপ্রিয়েটরশিপ থেকে এক সদস্য বিশিষ্ট এলএলসি বা তদ্বিপরীত রূপান্তর। রূপান্তরের উপর কোন কর আরোপ হবে না, চলমান প্রতিষ্ঠানের স্ট্যাটাস বিরাজমান থাকবে।
  • এলএলসি, পার্টনারশিপ বা সোল প্রপ্রিয়েটরশিপ থেকে সি বা এস কর্পে রূপান্তর। সাধারণত, রূপান্তরের উপ্র কর আরোপ হবে না। এস কর্পের জন্য চলমান প্রতিষ্ঠানের (পরিবর্ধিত আকারে) স্ট্যাটাস কার্যকর থাকবে।

[অনুবাদ]

পৃষ্ঠপোষকতায় –

sponsor---Khair-Tax

Similar Posts

Leave a Reply