কর্মচারীদের  সন্তুষ্টি আনতে পারে এমন পরিবেশ তৈরি করার দায়িত্ব আপনার। আর এটি করার জন্য ৩টি সহজ উপায় এখানে বর্ণনা করা হল।

কাজের চাপ, কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া এবং কাজের জন্য দিনের পর দিন অতিবাহিত করার পরও অনেকেই একজন সিইও হিসেবে সন্তুষ্ট থাকেন। কেন? কারণ তারা তাদের কাজ করতে ভালবাসে এবং যাদের সাথে কাজ করে তাদেরকেও ভালবাসে।

নেতৃত্ব দানের একটি বড় সুবিধা হল যে কর্মচারীদের জীবনের উপর একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারা। গ্রেটচেন রুবিন তার লেখা দা হ্যাপিনেস প্রজেক্ট বইতে লিখেছেন: “কাজের জন্য সন্তুষ্টি অর্জন বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং খুশি হওয়ার জন্য কাজ করার কোন বিকল্প নেই।”

তাই কর্মচারীদের সন্তুষ্টির জন্য অবদান রাখা একজন সিইও এর দায়িত্ব – এবং এটি তার নিজের মঙ্গলের জন্যেও বটে। কীভাবে এটি করা যায়? ব্লাইডস ডট কমের জন্য কাজ করেছে এমন কিছু উপায় এখানে দেওয়া হল। আপনার জন্য যেটা প্রযোজ্য সেটা বেছে নিন!

. মালিকানা

অনেকেই আগে থাকেন একজন শক্ত হাতের ক্ষুদ্র ম্যানেজার আর এখন হয়ে গেছেন একজন সিইও যে তার কর্মচারীদের উপর আস্থা রাখে এবং নিয়মিত তাদেরকে কাজ বুঝিয়ে দেয়।  বলা বাহুল্য যে একজন সিইও এর পক্ষ থেকে এটিই সেরা উপহার হতে পারে: লক্ষ্য ও দিক নির্দেশনা প্রদান করা এবং সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য নিজের টিমের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা এবং তাদেরকে নিজ দায়িত্বে কাজ করতে দেওয়া। তাদেরকে বিশ্বাস ও তারিফ করতে শেখাটাও কিনুত গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্যাপারটিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়ে কর্মচারীদের জন্য স্টক অপশন দেওয়া যেতে পারে। এর মানে হল এখন থেকে নিজ দায়িত্বে কাজ করা ছাড়াও, তারা কোম্পানির মালিকানায় অংশীদার হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে।

. বিনোদন

“সারাদিন কাজ কিন্তু কোন বিনোদন নেই” তা কি করে হয়? জ্যাক (এবং জিল) যদি সব দিক থেকেই ভারসাম্যপূর্ণ মানুষ হয়ে থাকে তাহলে তারা দক্ষ ও সন্তুষ্ট কর্মচারীও হতে পারবে। একজন সিইও এর কাজ হল কর্মক্ষেত্রে সৃজনশীল ও বিনোদনমূলক সুযোগ নিশ্চিত করা। সবাইকে যে সবকিছু মানাবে তা নয়, তাই যা যা আইডিয়া পাওয়া যায় তার সবগুলোকেই প্রণয়ন করে দেখুন: বনভোজন, যেমন খুশি তেমন সাজোর আয়োজন, পিং পং খেলার টুর্ণামেন্ট, আকস্মিক আইসক্রিম পার্টি, অফিস সাজানোর প্রতিযোগিতা, কবিতার আসর বা কোন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সাথে একটি যৌথ প্রকল্প হাতে নেওয়া। কর্মাচারীরা কতটা বিনোদনমূলক হতে পারে তার প্রমাণ হিসেবে এই মজার লিপ ডাবটি দেখুন যা এক কোম্পানির কর্মচারীরা বানিয়েছে।

. উন্নয়নের ধারাবাহিকতা

যখন মানুষ তার পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায়, তখন সে তার জীবনের বৃহত্তর অর্থ খুঁজে পায় – হোক সেটা বাসায় বা কাজের ক্ষেত্রে। কর্মচারীদের জন্য ব্যর্থতার ভয় ছাড়াই উন্নয়নের সংস্কৃতির মাঝে বেড়ে উঠতে পারার পরিবেশ একজন সিইও নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন যার প্রভাব পড়বে তাদের ব্যক্তিগত জীবনেও। এবং এই সংস্কৃতিকে তুলে ধরার সবচেয়ে ভাল পন্থা হল এর চর্চা করা যার ফলে সবার দুর্বলতা ও চ্যালেঞ্জগুলো প্রকাশ পায়। দ্বিতীয় পন্থা হল নিজের কর্মচারীদের উপর বিশ্বাস স্থাপন এবং চ্যালেঞ্জ যাই হোক না কেন, সাফল্যের জন্য তাদেরকে তাগিদ দেওয়া।

একজন সিইও হিসেবে আপনি খুশি হতে পারেন এমন কিছু প্রেক্ষাপটের তালিকা নিচে দেওয়া হল:

  • সবার যৌথ সাফল্যের সুবাদে কর্মচারীদের গাড়ি-বাড়ি কেনা, ছুটিতে যাওয়া এবং ভালভাবে পরিবারের ভরণপোষণ করতে পারার সামর্থ্য অবলোকন করা
  • তারা যখন অন্যদেরকে দক্ষতা অর্জন করা এবং উন্নয়নের জন্য সুযোগ করে দেয় এবং পরবর্তীতে নিজেরাই নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়
  • আপনি পূর্বে যে কাজ করেছেন সেই একই কাজ অন্যরা করছে এবং আপনার থেকেও ভালভাবে করতে পারছে – তা পর্যবেক্ষণ করা
  • আপনি যা কখনও করতে পারবেন না সেই কাজ যখন অন্যরা করে – তা দেখা
  • চাপমুক্ত পরিবেশে মানুষদের মানিয়ে নেওয়াতে সাহায্য করা
  • যেকোন কিছুতে (যেমন কোচিং, পরিকল্পনা গ্রহণ এবং যোগাযোগ রক্ষা) আরো কর্মঠ হওয়ার ব্যাপারে শিক্ষা গ্রহণ করা

একজন নেতা হিসেবে, আপনি কিসে খুশি থাকেন?

Similar Posts

Leave a Reply