যদি আপনি সফল উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে আপনাকে যা করতে হবে তা হলঃ পণ্যের উদ্ভাবন, উন্নয়ন এবং বাজারজাতকরণ, এমন এক পণ্য যা গ্রাহকরা চায়। তবে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবেঃ পণ্যটিকে আসলেই উদ্ভাবনীমূলক হতে হবে যা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান দেবে, দামে সাশ্রয়ী এবং অন্যান্য পণ্যের তুলনায় ব্যবহার করা সহজ। সময় ও অর্থ বিনিয়োগের বিপরীতে পণ্য থেকে সমপরিমাণ আয়ও থাকতে হবে। এবং এতসব করার সময় আপনার লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে।
সবকিছুই ঠিক আছে কিন্তু লক্ষ্য স্থির রাখতে গিয়ে অনেকেই হোঁচট খেয়ে থাকে। তবে এটি আপনার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকায় এই বিষয়টি আপনি সহজেই ঠিক করে নিতে পারেন। এই ১০টি বিষয় এড়িয়ে চলুন, তাহলেই হবে!
আপনি অনলাইনে থাকেন
ফেইসবুকের সময় নষ্ট করা, অ্যাপস নিয়ে খেলা করা, ইমেইল ও চ্যাটিং, যেকোন গ্যাজেট কিনে অর্থ ও সময় নষ্ট করা। এগুলো বাদ দিন, দেখবেন কাজ করার জন্য অনেক সময়ই আপনার হাতে থাকবে।
আপনি আপনার নিজস্ব ব্র্যান্ড গড়ে তুলছেন
নিজেকে ব্র্যান্ড হিসেবে নয়, বরং আপনার পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে মনযোগ দিন। নিজেকে নয়, বরং পণ্যের গ্রাহকদের গুরুত্ব দিন।
আপনি অল্প অল্প করে কাজ করেন
সফল উদ্যোক্তারা অর্ধেক কাজ করে তা ফেলে রাখে না। একটি কাজে ধ্যান দিন, সেটাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন করুন। যারা একটু একটু কাজ করে তুলনায় যারা একবারেই একটি কাজ শেষ করতে পারে তারাই সফল হয়।
আপনি যাকে-তাকে আপনার নেটওয়ার্কে যুক্ত করেন
নেটওয়ার্কিং বিজনেসের সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ তা নতুন সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করে। তবে যাকে তাকে নেটওয়ার্কে যুক্ত করে তেমন লাভ নেই। মনে রাখবেন, একটি সত্যিকারের পরিচয় হাজারটা যথেচ্ছ পরিচয়ের চেয়ে উত্তম।
আপনি টুইটারে ফলোয়ার খুঁজতে ব্যস্ত
আপনি সেলিব্রেটি হয়ে থাকলে ঠিক আছে, না হলে এই কাজটি করে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় না।
আপনি লটারি টিকেট কিনতে চান
লটারি টিকেট কিনে যদি আপনি ভাবেন রাতারাতি সবকিছু হয়ে যাবে, তাহলে আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন বলেই ধরে নেওয়া যায়। কিছু পেতে হলে সেই অনুযায়ী কিছু করতেও হবে।
আপনার কিছু না কিছু চাই
আশা আর স্বপ্ন ভাল, তবে সফল উদ্যোক্তারা ত্যাগ স্বীকার করতে জানে। এর মাধ্যমেই তারা তাদের ফোকাস ঠিক রাখে। প্রয়োজন থেকেই উদ্ভাবনের সূত্রপাত। অনেক কিছু চাওয়ার মধ্যে সেই উদ্ভাবন থাকে না।
আপনি অন্যদের কাছ থেকে সাহায্য চান
এটি না করে বরং আপনি তাদেরকে কীভাবে সাহায্য করতে পারেন সেটা ভাবুন। এর মাধ্যমেই নতুন সম্ভাবনা ধরা দেবে। নিজেকে নয়, বরং অন্যের প্রেরণা বোঝাই হল মূল কথা।
আপনার আইডিয়া কোন কাজে আসেনা
যদি আপনার আইডিয়া কাজে না আসে, তাহলে একটি সমস্যা বা চাহিদা নিয়ে কাজ শুরু করুন। শুরুতেই সমাধান বা উদ্ভাবন নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। আগে লক্ষ্য ঠিক করুন কী নিয়ে কাজ করতে চান তারপর অন্য কিছু।
আপনি ইতিবাচক অনুপ্রেরণা সন্ধান করে থাকেন
যদি আপনি দিশা হারিয়ে ফেলেন, তাহলে ইতিবাচক অনুপ্রেরণা সন্ধান করতেই পারেন। আপনার কাজের ব্যাপারে আগ্রহী থাকতে হবে। আগ্রহ না থাকলে অন্য কাজে মন দিন। যদি আপনি চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা মোকাবেলা করতে না পারেন, তাহলে সেটি ভাল লক্ষণ নয়। যদি আপনি নিজেই সমস্যা সমাধান করতে পারেন তবে সেটিই শ্রেয়।