underdog-1

সবার সাথে প্রতিযোগিতা করে অল্প কয়েকজনই শীর্ষে যেতে পারে । এখানে ৭টি বিষয় বলা হল যার মাধ্যমে আপনি শীর্ষে যাওয়া নিশ্চিত করতে পারেন।

 

ব্যবসার দুনিয়ায় সবাই চ্যাম্পিয়নকেই ভালবাসে। কিন্তু সবার নিচে অবহেলিত থেকেও উপরের স্থানে উঠে আসার মত সুখ আর কোনকিছুতে নেই। যারা সব ক্ষমতা, টাকা আর সম্পদের বাধা পেরিয়ে জয়ী হয় তারাই হয়ে উঠে কিংবদন্তি। এরা যে সবসময় ভাগ্যবান হয় তা কিন্তু নয়। প্রতিবন্ধকতাকে দূর করতে চাই কৌশল, ইচ্ছা এবং লক্ষ্য অর্জনে অন্যদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ের আন্দোলনের এক্সপার্ট এমি শোওয়াল্টার তার বই “আন্ডারডগ এজ” এ লিখেছেন যে সবার নিচে থাকারও একটা সুবিধা আছে। মানুষরা তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদেরকে পরিশ্রমী, নিয়মমাফিক, সৎ ও ভাল হিসেবেই সাধারণত বিবেচনা করে থাকে। এর ফলে উপরের স্তরের মানুষেরা তাদের ক্ষমতাবলে তৃণমূল পর্যায়ের দিকে নজর রাখতে উদ্বুদ্ধ হয়। আপনি যখন সবার নিচে থাকবেন, তখন নিজের চমক দেখাতে নিচের ৭টি পন্থা কাজে লাগাতে পারেন।

 

১। তৃণমূল পর্যায়ে নিজের চাহিদা তৈরি করুন

আপনি নিজেকে শূন্য ভাবলে চলবে না। যখন অন্যরাও আপনার গুরুত্ব বুঝবে তখনই তা কাজে আসবে। আপনার সঠিক ভাবমূর্তি তৈরি হবে ৪টি বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে: পক্ষপাত ছাড়া বিষয়ের এপিঠ-ওপিঠ বলতে পারা, কাজের জন্য ত্যাগ স্বীকার, সম্মান বজায়রাখা এবং নিয়ম মেনে চলা।

 

২। মানুষের সাথে কথা বলুন

তৃণমূলের কার্যকর কর্মীরা সদা তৎপর থাকে, তারা সরাসরি নিজেরাই অন্যদের সাথে কথা বলে। তারা জানে অনলাইন দিয়ে বাস্তব জীবনের সম্পর্ক তৈরি হয় না। অফিসের কাজ শেষ করে বাইরে বেরিয়ে পড়ুন, যারা আপনার কাজের ক্ষেত্রে সেরা ও দক্ষ তাদের সাথে কথা বলুন যাতে তারা আপনার সত্যিকার আগ্রহের ব্যাপারে বুঝতে পারে।

 

৩। নিজেকে প্রমাণ করুন

এ ধরনের কর্মীরা সাহসী হয় ও তাদের কাজে অনড় থাকে। তাদের সকল বাধা সত্ত্বেও তা পেরিয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে থাকে। নিষ্ঠা ও সাহস অনেক সময় প্রতিযোগিতায় উচ্চ বুদ্ধিমত্তাকেও হারিয়ে দেয়।

 

৪। সহানুভূতিশীল হোন

সফল কর্মীরা জানে তাদের কাজের ক্ষেত্রে যারা স্বনামধন্য তাদের মূল্যবোধ কেমন এবং সেই অনুযায়ী তারা নিজেদেরকে তাদের সামনে তুলে ধরে। তাদের বার্তাতেও সেই মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটে। যখন কানেকশন হয়ে যায়, তখন সেই স্বনামধন্য ব্যক্তি ঐ তৃণমূল কর্মীকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।

 

৫। দলের সাথে চলুন

একা কাজ করা যায় না। কাজে মনোনিবেশ করার লক্ষ্যে নিবেদিতপ্রাণ টিম লিডার, সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার করার লক্ষ্যে একে অপরের সাথে কানেক্টেড হয়ে সবার সাথে একসাথে কাজ করতে হবে।

 

৬। সম্পর্ক তৈরি করুন

অল্প সময়ের সম্পর্কে তেমন সুফল থাকে না। আপনার প্রস্পেক্টদের জন্য ভ্যালু প্রতিষ্ঠা করে তা প্রদান করুন তারপর আপনি তাদের সাথে একযোগে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

 

৭। কাজের ইচ্ছাকে মানিয়ে নিন

কাজের ইচ্ছা কর্মীদের জন্য জরুরি তবে তাদেরকে কার্যকরী হতে হবে। যারা অহেতুক চিৎকার করে তারা হয়ত সবার মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে, কিন্তু সবাইকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবে না। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ইচ্ছা থাকলে কাজে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে এবং নিজের মধ্যেই ডুবে থাকতে হতে পারে, এতে অন্য যারা আপনাকে সত্যি সত্যি সাহায্য করতে পারত, তারা দূরে সরে যেতে পারে। মনে রাখবেন, যখন আপনি তৃণমূল পর্যায়ে থাকবেন, তখন আপনাকে সফল হতে গেলে আপনার চারপাশে থাকা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সমর্থন আপনার লাগবেই।

Similar Posts

2 Comments

  1. valo ekta site.

  2. সবারসাথে প্রতিযোগিতা করেঅল্প কয়েকজনই শীর্ষে যেতে পারে । এখানে ৭টিবিষয় বলাহল যার মাধ্যমে আপনিওশীর্ষে যাওয়া নিশ্চিত করতে পারেন।ব্যবসার দুনিয়ায় সবাই চ্যাম্পিয়নকেই ভালবাসে। কিন্তু সবার নিচে অবহেলিত থেকেও উপরের স্থানে উঠে আসার মত সুখ আর কোনকিছুতে নেই। যারা সব ক্ষমতা, টাকা আর সম্পদের বাধা পেরিয়ে জয়ী হয় তারাই হয়ে উঠে কিংবদন্তি। এরা যে সবসময় ভাগ্যবান হয় তা কিন্তু নয়। প্রতিবন্ধকতাকে দূর করতে চাই কৌশল, ইচ্ছা এবং লক্ষ্য অর্জনে অন্যদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ের আন্দোলনের এক্সপার্ট এমি শোওয়াল্টার তার বই “আন্ডারডগ এজ” এ লিখেছেন যে সবার নিচে থাকারও একটা সুবিধা আছে। মানুষরা তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদেরকে পরিশ্রমী, নিয়মমাফিক, সৎ ও ভাল হিসেবেই সাধারণত বিবেচনা করে থাকে। এর ফলে উপরের স্তরের মানুষেরা তাদের ক্ষমতাবলে তৃণমূল পর্যায়ের দিকে নজর রাখতে উদ্বুদ্ধ হয়। আপনি যখন সবার নিচে থাকবেন, তখন নিজের চমক দেখাতে নিচের ৭টি পন্থা কাজে লাগাতে পারেন।১।তৃণমূল পর্যায়ে নিজের চাহিদা তৈরি করুনআপনি নিজেকে শূন্য ভাবলে চলবে না। যখন অন্যরাও আপনার গুরুত্ব বুঝবে তখনই তা কাজে আসবে। আপনার সঠিক ভাবমূর্তি তৈরি হবে ৪টি বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে: পক্ষপাত ছাড়া বিষয়ের এপিঠ-ওপিঠ বলতে পারা, কাজেরজন্য ত্যাগ স্বীকার, সম্মান বজায়রাখা এবং নিয়ম মেনে চলা।২।মানুষের সাথে কথা বলুনতৃণমূলের কার্যকর কর্মীরা সদা তৎপর থাকে, তারা সরাসরি নিজেরাই অন্যদের সাথেকথা বলে। তারা জানে অনলাইন দিয়ে বাস্তব জীবনের সম্পর্ক তৈরি হয় না। অফিসের কাজ শেষ করে বাইরে বেরিয়ে পড়ুন, যারা আপনার কাজের ক্ষেত্রে সেরা ও দক্ষ তাদের সাথে কথা বলুন যাতে তারা আপনার সত্যিকার আগ্রহের ব্যাপারে বুঝতে পারে।৩।নিজেকে প্রমাণ করুনএ ধরনের কর্মীরা সাহসী হয় ও তাদের কাজে অনড় থাকে। তাদের সকল বাধা সত্ত্বেও তা পেরিয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে থাকে। নিষ্ঠা ও সাহস অনেক সময় প্রতিযোগিতায় উচ্চ বুদ্ধিমত্তাকেও হারিয়ে দেয়।৪।সহানুভূতিশীল হোনসফল কর্মীরা জানে তাদের কাজের ক্ষেত্রে যারা স্বনামধন্য তাদের মূল্যবোধ কেমন এবং সেই অনুযায়ী তারা নিজেদেরকে তাদের সামনে তুলে ধরে। তাদের বার্তাতেও সেই মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটে। যখন কানেকশন হয়ে যায়, তখন সেই স্বনামধন্য ব্যক্তি ঐ তৃণমূল কর্মীকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।৫।দলের সাথে চলুনএকা কাজ করা যায় না। কাজে মনোনিবেশ করার লক্ষ্যে নিবেদিতপ্রাণ টিম লিডার, সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার করার লক্ষ্যে একেঅপরের সাথে কানেক্টেড হয়ে সবার সাথে একসাথে কাজ করতে হবে।৬।সম্পর্ক তৈরি করুনঅল্প সময়ের সম্পর্কে তেমন সুফল থাকে না।আপনার প্রস্পেক্টদের জন্য ভ্যালু প্রতিষ্ঠা করে তা প্রদান করুন তারপর আপনি তাদের সাথে একযোগে কাজ করার সুযোগ পাবেন।৭।কাজের ইচ্ছাকে মানিয়ে নিনকাজের ইচ্ছা কর্মীদের জন্য জরুরি তবে তাদেরকে কার্যকরী হতে হবে। যারা অহেতুক চিৎকার করে তারা হয়ত সবার মনোযোগ আকর্ষণকরতে পারে, কিন্তু সবাইকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবে না। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ইচ্ছা থাকলে কাজে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে এবং নিজের মধ্যেই ডুবে থাকতে হতে পারে, এতে অন্য যারা আপনাকে সত্যি সত্যি সাহায্য করতে পারত, তারা দূরে সরে যেতে পারে। মনে রাখবেন, যখন আপনি তৃণমূল পর্যায়ে থাকবেন, তখন আপনাকে সফল হতে গেলে আপনার চারপাশে থাকা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সমর্থন আপনার লাগবেই।

Leave a Reply