timetorenew2আপনার যদি আপনার ওয়েবসাইটটি কয়েক বছর আগে তৈরী করে থাকেন তবে  হয়ত এখন সময় এসেছে তা আপডেট করার। এর সব চেয়ে বড় কারন হল আগামী দুই থেকে তিন বছরে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ডেস্কটপ ব্যবহারকারীদের সংখ্যা অতিক্রম বলে আশা করা হচ্ছে আর তাই ওয়েবসাইট ব্যবহারের ডিভাইসের মাঝে এক নতুন পরিবর্তিন এসেছে।

যদি আপনার ওয়েবসাইট সব ধরণের ডিভাইসের এর জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাপ পরিবর্তন এবং সব বিষয়বস্তু  পুনর্বিন্যস্ত  না করে, তাহলে আপনার সাইটটি আপনার ব্যবসায়ের একটি মার্কেটিং হাতিয়ার হিসেবে কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারবে না। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আপনার ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রয়োজন আপনার ওয়েবসাইটটিকে আপডেট করার। কেন আপনার ওয়েবসাইটটি আপডেট করবেন, তা নিচে আলোচনা করা হল,

 

১। মোবাইলে ব্যবহারঃ স্মার্ট ফোনের সহজলভ্যতা এবং ব্যপক প্রসার মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেট এর ব্যবহার দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে কারন মানুষ এখন যখন খুশী যেখানে খুশী ইন্টারনেট ব্যবহার করছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। এই আবস্থায় আপনার ওয়েব সাইটটি যদি মোবাইল ফোনে দেখা না যায়, বা আপনার ওয়েব সাইটটির যদি মোবাইল ভার্সন না থাকে, তাহলে কিন্তু আপনি একটা বড় অংশের কাছে পৌছাতে পারলেন না। আপনার ওয়েবসাইটকে সব মোবাইল সেটে  যাতে সমান ভাবে ব্যবহার করা যায় তা এখন আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে। যাদের ওয়েব সাই্ট সব মোবাইল সেটে ব্যবহার করা যায় তাদের ওয়েবসাইটে ভিজি্টরের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায় আর যার ফলে তাদের ব্যবসায়ের প্রসার ঘটে।

 

২। আপনার ওয়েবসাইট নিয়মিত আপডে্ট করুনঃ স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের দিন চলে গেছে। আজকের সবচেয়ে কার্যকর ওয়েবসাইট হল যা্তে আপনার কোম্পানি সব তথ্য আপ টু ডেট থাকে এবং নিয়মিত ব্লগে পোস্ট এ   আপনার ব্যবসা সম্পর্কে তথ্য  বিবরণ আপডেট থাকে। ঘন ঘন আপডেট শুধুমাত্র পণ্য ও সেবা বিক্রি ভাল সাহায্য করেনা, এটি  পণ্য ও সেবা সম্পর্কে অন্যদের মতামত ও সংগ্রহ করে।

 

৩। সামাজিক মিডিয়াতে প্রচার করুনঃ আজকাল সামাজিক মিডিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার যা আপনি ইচ্ছা করলেই এড়িয়ে যেতে পারবেন না। আপনাকে অন লাইনে সামাজিক মাধ্যমে সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। ফেসবুক, লিংকইড ইনে, ইউটিউবে, টুইটারে আপনার প্রতিষ্ঠানের পেজ তৈরি করতে হবে। যেখানে আপনি আপনার পণ্য ও সেবার কথা, বিভিন্ন আপডেট, তথ্য, মতামত সংগ্রহ ইত্যাদি করতে পারেন। এটা আপনাকে আপনার ব্যবসার প্রচারে অনেক সাহায্য করবে।

 

৪। বিরক্তিকর বিষয়বস্তু মুছে ফেলুন: অপ্রাসন্গিক বিষয়বস্তু যা আপনার ওয়েবসাইটে্র মাঝে বিদ্যমান তা ফেলে দিয়ে প্রয়োজনীয় আর বিষয় ভিত্তিক তথ্য যোগ করে নিন।

 

৫। সহজে ব্যবহার উপযোগীঃ ওয়েবসাইটের সবচেয়ে দ্রুত ভিজিটর পেতে যতটা সম্ভব সাইটটিকে সহজ ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। আপনার ওয়েব ডিজাইনার সঙ্গে কাজ করে সাইটটিকে পরিষ্কার আর একটি সুন্দর ডিজাইন বিল্ড করুন।

 

৬। সাইট পরিচালনা করুন নিজেইঃ আপনি নিজে ওয়েব সাইট তৈরি করেন বা কাউকে দিয়ে করান, আপনি একটি CMS (কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম – যেমন, জুমলা, ওয়ার্ডপ্রেস ইত্যাদি) তৈরী  করে নেন, যাতে আপনি নিজেই ওয়েব সাইট আপডেট করতে পারবেন। কারন যদি কখনও ওয়েব ডিজাইনার  সাথে আপনার সম্পর্ক বা চুক্তী শেষ হয়ে যায়  তবে এই CMS দিয়ে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

[অনুবাদ]

Similar Posts

Leave a Reply