success

সময় আমাকে পূরণ করে না, আমিই সময়কে পূরণ করি

যদি ডেডলাইন ও সময়সীমা কাজের পরিধি নির্ধারণ করে দেয় তবে তা আদতে ভাল হয় না। যাকে কাজ করার জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয় সে কিন্তু ঐভাবেই তার কার্যক্ষমতা দুই সপ্তাহ অনুযায়ী সমন্বয় করে নেবে। ডেডলাইন ভুলে যান, যতটুকু সময় দরকার, ততটুকু সময় নিয়েই কাজ করুন। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী কার্যকর ও দ্রুতভাবে কাজ করুন, তারপর অন্য সময়ে অন্য কাজে মন দিন। গড়পড়তার মানুষ সময়ের বেঁড়াজালে নিজেদেরকে আটকে ফেলে আর অসাধারণ মানুষরা সময়কে তাদের মত করে নিয়ন্ত্রণ করতে জানে।

আমার নির্বাচন করা মানুষগুলোই আমার চারপাশে থাকে

যদি আপনার আশপাশের মানুষ আপনাকে সুখী করতে না পারে তাহলে এটা তাদের দোষ নয়, এটা আপনার দোষ যে আপনি তাদেরকে নির্বাচন করেছেন। তারা আপনার পেশাগত বা ব্যক্তিগত জীবনে আছে কারণ আপনি তাদেরকে থাকতে দিয়েছেন। আপনি কোন ধরনের মানুষের সাথে কাজ করতে চান, কোন ধরনের গ্রাহকদের সেবা করতে চান, কোন ধরনের বন্ধু চান – তা ভেবে দেখুন। এরপর সেই ধরনের মানুষদের কাছে যেতে হবে। কর্মঠ মানুষ অন্য কর্মঠ মানুষের কদর করে। আর অসাধারণ কর্মচারীরা অসাধারণ বসদের জন্যই কাজ করে থাকে। সাফল্য শুধুমাত্র অন্যান্য সাফল্যকেই আকৃষ্ট করে থাকে।

আমি কখনও কোন কিছুর বকেয়া রাখিনি

বকেয়া রাখার কিছু নেই। বকেয়া প্রতিদিন প্রতিনিয়তই দিয়ে দিতে হয়। আপনি দৈনন্দিন ভিত্তিতে কতটা অবদান রাখছেন সেটাই আপনার ভ্যালুর একমাত্র আসল পরিমাপ। অতীতে আপনি যাই করে থাকুন না কেন, বর্তমানে কিন্তু দরকার হলে আপনাকে কাজে নেমে পড়তে হবে। কোন কাজই ছোট বা বোরিং না। সফল ব্যক্তিরা শুধুমাত্র তাদের শ্রমের ফলের উপরেই নির্ভর করে থাকে।

অভিজ্ঞতা অপ্রাসঙ্গিক, অর্জনই সবকিছু

আপনি কত বছর ধরে একটি কাজ করছেন সেটা মূখ্য নয়। আপনি কী কী কাজ করেছেন এবং কীভাবে সেগুলোতে সফল হয়েছেন সেটাই মূল বিষয়। সফল ব্যক্তিরা কথা ফুলঝরি ব্যবহার করে না, তারা বিনীতভাবে তারা যে যে কাজ করেছে তার বিবরণ তুলে ধরে।

ব্যর্থতাকে আমি অর্জনে পরিণত করি, ব্যর্থতা শুধু আমার একার ক্ষেত্রেই ঘটে না

যখন কাউকে জিজ্ঞেস করা হয় তারা কেন সফল, তখন অধিকাংশই বলবে নিজেদের প্রয়াসের কথা, মাঝে মধ্যে হয়ত কেউ কেউ অন্যদের কৃতজ্ঞতাও স্বীকার করবে। কিন্তু যখন তাদের ব্যর্থতার কারণ জানতে চাওয়া হয় তখন তারা বাচ্চাদের মত নানা অজুহাত দাঁড় করাবে। কেউ বলবে অর্থনৈতিক মন্দা, কেউ বলবে বাজারের অবস্থা ভাল না বা সাপ্লায়াররা ঠিকমত সরবরাহ দিতে পারেনি। ব্যর্থতার দায় সব সময় অন্য কারো বা অন্য কিছুর উপর গিয়ে পড়বে। নিজেদের দায় স্বীকার না করার ফলে ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা হয়ে উঠে না। হয়ত আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে কোন কিছুর কারণে আপনি ব্যর্থ হয়েছেন, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয়ত তা আপনার নিজের ভুলের জন্যই হয়েছে।  সবাই ব্যর্থ হয়, একবার নয়, অনেকবার। এই ব্যর্থতার কারণের আজকে কেউ কেউ সফল হতে পেরেছে। তাই ব্যর্থতাকে আপন করে নিন, তা থেকে শিখুন এবং দায় এড়িয়ে যাবেন না, নিশ্চিত হোন যে পরের বার এমনটি আর হবে না।

ভলান্টিয়ারদের জয় সব সময়

হাত তুলে কোন কাজে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ প্রকাশ করা ভাল। বেশি বেশি কাজ করা শেখার, দক্ষতা অর্জন, অন্যের মন জয় করা এবং নতুন নতুন সংযোগ তৈরি করার সুযোগ সৃষ্টি করে। সাফল্যে কাজের মাধ্যমেই আসে। আপনি যতবেশি ভলান্টিয়ারিং করবেন, আপনি ততবেশি কাজ করতে পারবেন এবং সফল মানুষদের মত সুযোগ তৈরি করে নিতে পারবেন। সফল ব্যক্তিরা সদা সর্বদা সামনে এগিয়ে যায়।

যতক্ষণ পর্যন্ত আমি ভাল অংকের টাকা পাচ্ছি, ততক্ষণ পর্যন্ত ঠিক আছে

টাকা আয় করা আনন্দের। অবৈধ বা অনৈতিক ছাড়া অন্য যেকোন কিছু আপনি করতে পারেন যদি আপনার গ্রাহক তার জন্য ভাল অংকের টাকা দিতে রাজি থাকে। গ্রাহকরা হয়ত বেশি কিছু চাইতে পারে যা আপনি সাধারণত করে থাকেন না, সেক্ষেত্রে গ্রাহকদের জন্য ঐ বেশি কাজটুকু করে নিয়ে আপনার প্রাপ্য অর্থ বুঝে নিন। আপনি যা করতে ভালবাসেন তা করলে আপনি একটি ভাল বিজনেস প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন, তবে গ্রাহকরা যা চায় সেই অনুযায়ী কাজ করলে আপনি একটি সফল বিজনেস প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

যারা আমাকে বেতন দেয় তারা আমাকে যেকোন কিছু বলার অধিকার রাখে

নিজের ইগোকে কাজের মাঝে টেনে আনবেন না, নিজের ইগো ব্যক্তিগত সময়ে প্রয়োগ করুন। যারা আপনাকে কাজের জন্য টাকা দেয়, তাদের পূর্ণ অধিকার আছে কাজের ব্যাপারে আপনাকে যেকোন কিছু বলার। অভিযোগ না করে যারা কাজের জন্য আপনাকে টাকা দেবে তারা যা চায় সেই অনুযায়ী আপনার কাজকে সমন্বয় করে নিন।

এক্সট্রা মাইলের কথা হল রূপকথা

সবাইক বলে তারা এক্সট্রা কাজ করে, আসলে কিন্তু কেউ তা করে না। যারা একটু বেশি কিছু করতে যায় তারা ভাবে শুধু আমিই কেন এক্সট্রা করব এবং পরে কাজ থামিয়ে দেয়। এক্সট্রা কিছু কেউ করে না ঠিকই, কিন্তু তা করলে নতুন সম্ভাবনা আপনার কাছে ধরা দিতে পারে। একটু বেশি সময় ধরে কাজ করুন, আরেকটু গবেষণা করুন। নির্দেশের জন্য অপেক্ষা না করে অন্যদেরকে দেখিয়ে দিন কী কী কাজ করতে হবে। কোন কিছু করতে গেলে আরো এক্সট্রা কী করা যায় তা ভাবুন, এমন কিছু যা অন্যরা করে থাকে না। হয়ত এটি করা কঠিন তবে সেটাই কিন্তু আপনার বিশেষত্ব তৈরি করে দেবে যা আপনার সাফল্য নিশ্চিত করবে।

Similar Posts

Leave a Reply