আপনার কী মনে হয় যে আপনি স্থবির হয়ে পড়েছেন বা আপনার সীমায় পৌঁছে গেছেন? এখানে সব বৃত্ত ভেঙ্গে সামনে এগিয়ে যাওয়ার তিনটি পন্থা তুলে ধরা হল।
আপনি ধরে নিয়েছেন যে আপনি ভালভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু সবকিছুই এক সময় হুট করেই স্থবির হয়ে পড়ে। আগে যা কার্যকর ছিল বর্তমানে তা আর হয়ত কার্যকর নেই। তাই আপনি আরো বেশি পরিশ্রম করছেন কিন্তু তারপরও কাজের কাজ তেমন কিছুই হচ্ছে না।
ঘাবড়াবেন না, কোনকিছু অর্জন করার পথ কিন্তু মসৃণ হয় না। হতে পারে আপনি আপনার কোম্পানিকে পরবর্তী ধাপের জন্য পরিবর্ধন করতে চাইছেন, মার্কেটিংয়ে নতুন গতি আনতে চাইছেন বা কর্পোরেট মানদন্ডে উন্নীত হতে চাইছেন, সবকিছুর মাঝেই সমস্যা থাকেবেই। এগুলো বিরক্তিকরও বটে, তবে এগুলো আপনার কোম্পানির বৃদ্ধির প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। যখন আপনি নিজেই সব বাধা অতিক্রম করে সাফল্যের পথ তৈরি করে নিতে পারেন, তখন অজানা শক্তির কাছে কেন নতি স্বীকার করবেন? আপনাকে সাহায্য করার জন্য এখানে তিনটি কৌশল তুলে ধরা হল।
১. নিজের দুর্বলতাকে ভালভাবে পরখ করুন
অনেককেই শুরু থেকে তাদের নিজস্ব শক্তির উপর জোর দিতে বলা হয়। আপনার অভিজ্ঞতা ও বর্তমান প্রতিভা ব্যবহার করে ফেলেছেন বলে হয়ত আপনার মাঝে স্থবিরতা চলে এসেছে, এখন দেখতে হবে আপনার দক্ষতার ক্ষেত্রে কোন জিনিসটি বাদ গেছে। আপনি যে কাজগুলো ভালভাবে করছেন না তার একটি তালিকা করুন। এক এক করে সবগুলোর দিকে নজর দিন, এবং প্রতিটি দুর্বলতা দূর করার জন্য যে তিনটি জিনিস আপনি করতে পারেন তা লিখে রাখুন। প্রতিটি দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার জন্য একটি সময় সীমা ঠিক করে নিন।
২. সমালোচকদের দ্বারস্থ হোন
এখন কিন্তু অনুপ্রারণা খোঁজার সময় নয়। আপনার ইগোকে কিছু সময়ের জন্য দূরে সরিয়ে রাখুন। যদি আপনার কাছে সব উত্তর থাকত তাহলে হয়ত এতক্ষণে আপনি সব বাধা দূর করতে পারতেন। আপনার দরকার অন্যদের সহায়তা। আপনার পরিচিত যারা স্পষ্ট ও সত্যবাদী তাদের দ্বারস্থ হোন। তাদেরকে বলুন আপনার কাজ ও চিন্তাধারাকে প্রশ্ন ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করার জন্য। নিজের পন্থার সাফাই গাওয়া থেকে বিরত থাকুন। মনকে খোলা রাখুন এবং নতুন কিছু শেখার মানসিকতা তৈরি করে নিন। হয়ত এতে কষ্ট হবে আপনার তবে অহেতুক চিন্তা ও বিভিন্ন অকার্যকর প্রক্রিয়া – যার ফলে আপনার সামনে এগিয়ে যাওয়া ব্যাহত হচ্ছে, তা এর মাধ্যমে আপনি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
৩. নিরপেক্ষ পন্থা অবলম্বন করুন
আপনি যখন আপনার কোম্পানির অগ্রগতি নিয়ে অখুশি, তখন নতুন উদ্যোগ গ্রহণের কথা চিন্তা করতে হবে। গতকাল যে ব্যর্থতা ছিল তা যেন আজকে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ধরুন কোম্পানিকে নতুন এক বিনিয়োগকারী কিনে নিয়েছে, আপনাকে সেই বিনিয়োগকারীর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে চিন্তা করতে হবে। পুরনো দেন দরবার বাদ দিয়ে নতুন করে কোম্পানির সব কিছু মূল্যায়ন করে দেখতে হবে। পূর্বে যে সাফল্য অর্জিত হয়নি তা অর্জনের পথ অবিষ্কার করতে হবে। আপনার নতুন করে সময় ও শ্রম দেওয়া অর্থবহ করতে সাফল্যের উত্তম পথ খুঁজে নিতে হবে।
আপনি যত বেশি অর্জন চাইবেন, তত বেশি বাধার সম্মুখীন হতে হবে আপনাকে। চ্যালেঞ্জগুলো বড় হয়ে দেখা দেবে আর তখন শুধু কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যবসায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ঠ হবে না। সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে সবাই কিন্তু টিকে থাকতে পারে না এবং এর পেছনে কারণও আছে। সততা ও নিষ্ঠার সাথে বাধা দূর করার ইচ্ছা ও সক্ষমতাই কিন্তু আপনার সামনে এগিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করবে।
[অনুবাদ]